বোলপুরে স্থায়ী প্রদর্শশালার দাবি নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে

সালটা ছিল ১৯৩৯। তাঁর জন্মদিনের ঠিক দু’দিন আগে। স্টেশনে বোলপুরবাসীর কাছ থেকে বিপুল সংবর্ধনা পেয়ে অভিভূত হন নেতাজি সুভাষচন্দ বসু। সংবর্ধনার পরে শান্তিনিকেতনে গিয়ে দেখা করেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। ‘আমার কুটীর’-এ রাজবন্দিদের সঙ্গে আলোচনা, কালীবারোয়ারি তলায় সভা-সহ এলাকার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন নেতাজি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৬
Share:

সিউড়ির গোবিন্দপুরে শোভাযাত্রা। সোমবারের নিজস্ব চিত্র।

সালটা ছিল ১৯৩৯। তাঁর জন্মদিনের ঠিক দু’দিন আগে। স্টেশনে বোলপুরবাসীর কাছ থেকে বিপুল সংবর্ধনা পেয়ে অভিভূত হন নেতাজি সুভাষচন্দ বসু। সংবর্ধনার পরে শান্তিনিকেতনে গিয়ে দেখা করেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। ‘আমার কুটীর’-এ রাজবন্দিদের সঙ্গে আলোচনা, কালীবারোয়ারি তলায় সভা-সহ এলাকার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন নেতাজি। সে দিনের এমনই নানা কথা উঠে এল বোলপুরে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে।

Advertisement

স্থানীয় রবীন্দ্রসঙ্ঘের পরিচালনায় ও বোলপুর পুরসভার সহযোগিতায় দু’দিন ধরে নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে নেতাজিকে স্মরণ করেন আয়োজকেরা। তার পরে অঙ্কন, ‘তরুণের স্বপ্ন’ থেকে পাঠ, গীতি আলেখ্য, ক্যুইজ-সহ নানা অনুষ্ঠান হয়। অন্য দিকে, বোলপুরের মির্জাপুরের আশ্রম ‘দ্য বিবেকানন্দ এডুকেশনাল, কালচারাল অ্যান্ড সোশ্যাল ইনস্টিটিউশনে’র আদিবাসী পড়ুয়াদের উদ্যোগে নেতাজির জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান হয়। ছিল বিবেক উৎসব এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও। শান্তিনিকেতনের সিংহসদনে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করেছে বিশ্বভারতী। অনুষ্ঠানে পাঠভবনের পড়ুয়াদের নেতাজি বিষয়ক প্রদর্শনী ছিল। তাঁর স্মৃতি কে সম্মান জানাতে বোলপুরে একটি নেতাজি বিষয়ক স্থায়ী প্রদর্শশালা গড়ে তোলারও দাবি উঠেছে। বোলপুর বালিকা বিদ্যালয়য়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিষ্ণুনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ থেকে তারাশঙ্কর, জেলার বহু মানুষের সঙ্গে নেতাজির সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ‘আমার কুটীর’, বোলপুর, শান্তিনিকেতন— বিভিন্ন জায়গায় তাঁর পদধূলি পড়েছে। স্বাধীনতার অন্যতম মহানায়ককে নিয়ে বোলপুরে একটি স্থায়ী প্রদর্শশালা গড়ুক রাজ্য সরকার।”

নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাঁইথিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পুরসভা। পুরসভার উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮টায় ডাকবাংলা চত্বরে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে এ দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত। সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। পরে রবীন্দ্রভবনে বসে আঁকো, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে সাঁইথিয়ার দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় ও নেহরু যুব কেন্দ্রের সহযোগিতায় একটি স্থানীয় সংগঠন দু’দিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী হাঁসদা। প্রধান বলেন, ‘‘এ দিন সিউড়ির একটি নাট্যগোষ্ঠী দু’টি নাটক পরিবেশন করে। আজ মঙ্গলবার চক্ষু পরীক্ষা ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement