Pradhan Mantri Awas Yojana

আবাস তালিকায় নাম নেই, দফতর বন্ধ করে বিক্ষোভ

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির তালিকায় তাঁদের প্রত্যেকের নাম এসেছিল। তিন দফা সমীক্ষাও হয়। তার পরেই তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৫৪
Share:

গেট আটকে চলছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার দুপুরে। নিজস্ব চিত্র

আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল। কিন্তু সমীক্ষার সময় বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সিউড়ি ১ ব্লক অফিসের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ওই ব্লকের নগরী, কড়িধ্যা, তিলপাড়া সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির তালিকায় তাঁদের প্রত্যেকের নাম এসেছিল। তিন দফা সমীক্ষাও হয়। তার পরেই তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা প্রত্যেকে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। অথচ স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার, পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসের কর্মীরা চক্রান্ত করে তাঁদের নাম বাদ দিয়েছেন।

পুনরায় সমীক্ষা করে তালিকায় নাম সংযোজনের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের তরফে মহম্মদ খান বলেন, ‘‘যাঁদের বাড়ি আছে তাঁরা পুনরায় বাড়ি পাচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃত প্রাপকদের নাম বাদ যাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমরা ভোট বয়কট করতে বাধ্য হব।’’ বিক্ষোভকারী ছবি ঘোষ, মকসুদ খান বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ি নেই। কোনও রকমে চাষ করে সংসার চলে। অথচ আমাদের নাম বাড়ির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। আমরা চাই তালিকায় নাম সংযোজন করা হোক।’’

Advertisement

সিউড়ি ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্লকের অন্তগর্ত ৭টি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সাত হাজারের বেশি বাড়ির অনুমোদন এসেছে। তার মধ্যে সমীক্ষার পর দেখা যাচ্ছে প্রায় হাজার দু’য়েক নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ বাড়ি পেয়েছেন অথবা বাড়ি পাওয়ার জন্য যে যে শর্ত রয়েছে তা পূরণ করতে পারেননি।

ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সমীক্ষায় গিয়ে দেখা গিয়েছে তালিকায় নাম থাকলেও বাড়িতে তিনটি মোটরবাইক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’’ তবে জবকার্ডে জটিলতার জন্য সমস্যা হয়েছে বলে মানছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের দাবি, কোনও পরিবারের প্রধানের জবকার্ড রয়েছে। তাঁদের ছেলেরা সেই জবকার্ডের অন্তর্গত। কিন্তু তাঁরা আলাদা থাকলে যদি পুরনো জবকার্ডের ভিত্তিতে বাড়ির তালিকায় নাম এসে থাকে তাহলে পরিবারের বাকিরা আলাদা থাকলেও বাড়ি পাচ্ছেন না। এই সমস্যা জেলা জুড়েই হয়েছে।

বিডিও (সিউড়ি ১) শিবাশিস সরকার বলেন, ‘‘এটা ২০১৮ সালের তালিকা। এতে যাঁরা যোগ্য প্রাপক নন তাঁদের চিহ্নিত করে বাদ দেওয়ার কাজ চলছে। সবটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তবে নতুন করে তালিকায় সংযোজন করা সম্ভব নয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘কয়েক জন দাবিদাওয়া নিয়ে এসেছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement