বন্ধ: ঝুঁঝকা মোড়ে অবরোধ। ফাইল চিত্র
আবাস-বিক্ষোভের জেরে অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তায় হওয়া অবরোধ নিয়ে আশঙ্কায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজনেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দু’বছরের অতিমারির পরে পর্যটকেরা আবার ভিড় জমাতে শুরু করেছেন অযোধ্যা পাহাড়ে। তাতে লোকসানের ধাক্কা থেকে বেরিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে আবাস-বিক্ষোভের জেরে দফায় দফায় অবরোধে পর্যটকেরা পাহাড় থেকে মুখ ফেরালে তার প্রভাব পড়তে পারে পর্যটন ব্যবসায়। বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল জানিয়ে তাই তাঁদের আর্জি, আন্দোলন হতেই পারে। তবে তা পথ আটকে যেননা হয়।
ঘটনা হল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আবাস প্লাসের তালিকা গ্রাম সভায় পড়ে শোনানোর দিন থেকেই তেতে উঠেছে পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা। পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে তালা ঝোলানো থেকে শুরু করে তালিকা যাচাইয়ের সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বাড়ি চড়াও হয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, দফায় দফায় পথ অবরোধ—সবই চলেছে।
অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়ছেন পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের অনেকেই। কলকাতা থেকে পাহাড়ে আসা দুই পর্যটক, টুটু অধিকারী ও রীতেশ মল্লিকের কথায়, “ঘুরতে এসে পথে এ ভাবে আটকে পড়লে তো খুব মুশকিল। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা দরকার।”
আবাস তালিকা নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও পথ অবরোধ না করার অনুরোধ জানাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির নেতারাও। যদিও গোটা পরিস্থিতির জন্য শাসক দল তৃণমূল ও তার সঙ্গে প্রশাসনের অকর্মণ্যতাকে দায়ী করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা ও কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোদের দাবি, আবাস-বিক্ষোভের দায় তৃণমূল ও প্রশাসন, কেউই এড়াতে পারে না।
বিরোধীদের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার তবে বক্তব্য, “তালিকা নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে। পথ অবরোধ করলে তার সমস্যা মিটবে না। বরং নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে তা জানাতে হবে প্রশাসনকে। যোগ্য কেউ যাতে প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিয়ে দলের তরফেও নজরদারি চলছে।”