প্রতীকী ছবি।
নতুন করে ইউনিট বন্ধ করতে হয়নি। তবে সঞ্চিত জলে কত দূর কাজ চালানো যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (এমটিপিএস)-এর কর্তারা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ বলেন, “দু’টি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ায় জলের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয়, আপাতত সে দিকে তাকিয়ে আমরা।”
গত শনিবার দুর্গাপুর ব্যারাজের লকগেট ভেঙে জল বেরিয়ে যায়। এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে বাঁকুড়া ১, বাঁকুড়া ২ ও বড়জোড়া ব্লকের বহু এলাকায় জল সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি, ব্যারাজের জলেই এমটিপিএস প্রকল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কলোনির বাসিন্দারা নির্ভরশীল। দু’টি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। এমটিপিএস সূত্রে খবর, দৈনিক গড়ে যেখানে প্রায় ১,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, বুধবার হয়েছে ৯০০ মেগাওয়াট।
বড়জোড়া, বাঁকুড়া ১ ও বাঁকুড়া ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক ও ‘পাউচ’ পাঠাচ্ছে প্রশাসন। জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “কোথাও যাতে জলসঙ্কট না হয়, তার জন্য পরিকল্পনামতো কাজ করছে প্রশাসন। এখনও কোথাও জলের সমস্যার অভিযোগ ওঠেনি।”