পুলিশ পাহারায় আলু বিক্রি সুফল বাংলার স্টলে। শনিবার সিউড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
বোলপুরের পরে সিউড়ি। ফেরপুলিশি পাহারায় বিক্রি করা হল আলু। তা কিনতেই শনিবার সকাল থেকে সুফল বাংলা স্টলের সামনে ছিল ক্রেতাদের লম্বা লাইন। অন্য দিকে, সিউড়ির ডিআরডিসি হলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও তাঁদের স্টল থেকে আলু বিক্রি করেন। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া। জেলার বাজারে কোথাও ৪০ টাকা, কোথাও আলু বিকোচ্ছে ৪২ টাকা দরে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার সুফল বাংলা স্টল গুলিতে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির ঘোষণা করে। বোলপুরের সুফল বাংলা থেকে ইতিমধ্যেই আলু বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এ দিন থেকে সিউড়ি শহরের সুফল বাংলার স্টল থেকে আলু বিক্রি শুরু হল। এ দিন প্রায় ৭০০ কেজি আলু এসেছিল। ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেলা ১২টার মধ্যেই সব আলু শেষ হয়ে যায়। তবে এখন আলু বিক্রি চলবে বলে খবর।
গত বছর পেঁয়াজের দাম যখন সেঞ্চুরি করেছিল, তখনও সুফল বাংলার এই স্টল থেকেই সরকারি উদ্যোগে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু, পেঁয়াজ নেওয়ার জন্য মানুষের হুড়োহুড়ির জেরে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি বোলপুরের সুফল বাংলার স্টল থেকে পেঁয়াজ লুটের অভিযোগও উঠেছিল। অশান্তি এড়াতে এ বার আলু বিক্রির সময়ে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিউড়ির সুফল বাংলা স্টলের কর্মী তাপস পাত্র বলেন, ‘‘ক্রেতাদের চাহিদা খুবই বেশি। তাই কোনও রকম গণ্ডগোলের সৃষ্টি যেন না হয়, পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, ক্রেতা পিছু ২৫ টাকা দরে তিন কিলো করে আলু দেওয়া হচ্ছে।
সুফল বাংলার পাশাপাশি এ দিন সকাল থেকে ডিআরডিসি হল চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ‘মাতৃ বন্ধন’ স্টল থেকে আলু বিক্রি করা হয়। সেখানেও প্রত্যেক ক্রেতাকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতা পিছু তিন কেজি করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। তাঁরা প্রায় ১০ কুইন্টাল আলু আনিয়েছিলেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পক্ষ থেকে তুষারমালা দাস বলেন, ‘‘ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা যা আলু আনিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে। বুধবার আবার প্রায় ১৫ কুইন্টাল আলু আসবে। তার পরে আবার বিক্রি করা হবে।’’