ঘমুণ্ডির হুড়ুমদা গ্রামে বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াড। —নিজস্ব চিত্র
হুড়ুমদা গ্রামে সোমবার বিকালে বিস্ফোরণের ঘটনার পরে ধোঁয়াশা ক্রমাগত বাড়ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বুধবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত মহরম মোমিনকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সে কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে সেই সন্ধানই জোগাড় করে উঠতে পারেনি। বিস্ফোরণে আহত মহরমের নাতিরই বা কী অবস্থা, সেই প্রশ্নেরও এখনও আঁধার কাটছে না। বুধবার বিকেলে এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তের সন্ধান পেতে সব রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। গোটা বিষয়টি তদন্তের মধ্যে রয়েছে।’’
সোমবার বিকেলে হুড়ুমদা গ্রামের মহরম মোমিনের বাড়ি থেকে বিকট শব্দ পান পড়শিরা। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। পরে বাহিনী নিয়ে যান এসডিপিও। গ্রামের এক বাসিন্দার করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিস্ফোরক মজুত রাখা ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। মঙ্গলবার গ্রামে যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। ঘটনার পরে পুরো বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে, কী ভাবে হয়েছে, ঘটনার পরে আহত সেই শিশু বা শিশুর দাদু গেলেন কোথায়— এমন নানা প্রশ্ন উত্তর খুঁজে ফিরছে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘এত বড় একটা ঘটনা। কিন্তু এক দিন পার করেও পুলিশ পুরোপুরি অন্ধকারে। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা খুঁজে বার করুক পুলিশ।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ঘটনা পুলিশ আর শাসকদল তৃণমূলের মিলিত সন্ত্রাসের একটা নমুনা মাত্র। আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’
তবে অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার সঙ্গে বা অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।