ধীরে চলছে গাড়ি। হেঁটে পার করাচ্ছেন খালাসি। মহম্মদবাজারের সাগরবান্দি গ্রামে। ছবি: পাপাই বাগদি
দুর্ঘটনা রুখতে বোর্ড লাগিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল এলাকাবাসীই।
মহম্মদবাজার ব্লকের ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের সাগরবান্দি গ্রামে ওই সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। বোর্ডে লেখা রয়েছে, সকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করতে পারবে না গ্রামের রাস্তা দিয়ে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ধরা-বাঁধা সময়ের মধ্যে গাড়ি পেরোতে গেলে খুব ধীরে ধীরে এবং গাড়ির খালাসিকে গাড়ির আগে আগে পায়ে হেঁটে গ্রামের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পেরোতে হবে।
বুধবার গ্রামের রাস্তায় গিয়ে দেখা গেল তেমনই ছবি। গাড়ি নিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামের রাস্তাটুকু পেরোচ্ছেন খালাসি। স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ বাসকি ও রুবি মার্ডিদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তা দিয়ে অনবরত চলাচল করে পাথরবোঝাই গাড়ি। তাতে অতীতে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এটা পাঁচামি থেকে পাথর নিয়ে যাওয়ার মূল রাস্তাও। ফলে সারা দিনে কয়েকশো গাড়ি যাতায়াত করে এই পথে। সামনেই রয়েছে সাগরবাঁন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে জোড়ে গাড়ি যাতায়াত করে। অপরিসর রাস্তায় বিপদের শঙ্কায় সিঁটিয়ে থাকতে হয়। তাই গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আলোচনা করে গাবারবাথান থেকে সাগরবান্দি যাওয়ার রাস্তায় সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। ভাঁরকাটা পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রিয়া কোনাই জানান, রাস্তার উপরেই রয়েছে সাগরবাঁন্দি গ্রাম। এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, এ ভাবে কি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যায়? পুলিশ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘এমন একটা বিজ্ঞপ্তির কথা শোনা গিয়েছে। ঠিক কী বলা হয়েছে, কেন এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’’