প্রতীকী ছবি।
হঠাৎই রাতে তাকে দেখা গিয়েছিল বান্দোয়ান-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কের চিরুডি মোড়ের কাছে। সে সময় তাকে দেখে কয়েক জন গাড়িচালক ‘বাঘ বাঘ’ বলে চিৎকারও জুড়ে দিয়েছিলেন। এর পর সেখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান বন দফতরের কর্মীরাও। কিন্তু তার আর খোঁজ মেলেনি।
চিরুডি মোড়ের ওই ঘটনাস্থলের সামনেই একটি কালী মন্দির রয়েছে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরুলিয়া বনবিভাগের কর্মীরা দেখেন একটি চারপেয়ে বিড়াল গোত্রের প্রাণী রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে। আজ এই বিষয়ে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজটি পরিষ্কার নয়। ওটা দেখে আমরা এখনই এটা বলতে পারছি না যে সেটি চিতাবাঘ। ওটি বনবিড়াল জাতীয় অন্য কোনও প্রাণীও হতে পারে।’’
বনবিভাগের এই অবস্থানের ‘কারণ’ ব্যাখ্যা করে ডিএফও বলেন, ‘‘আমরা ওই সমস্ত এলাকা পুরোটা খুঁজে কোথাও চিতাবাঘ বা ওই জাতীয় প্রাণীর পায়ের ছাপ পাইনি। তবে অতীতে যে হেতু পুরুলিয়া জেলায় চিতাবাঘের দেখা মিলেছে তাই বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আশপাশের জঙ্গলগুলিতে আমাদের কর্মীরা নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা তেমন কিছু পাইনি।’’
এ ছাড়াও ট্র্যাপ ক্যামেরা র মাধ্যমেও জঙ্গলে নজরদারি চলছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিরুডির অদূরে বান্দোয়ানে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি থেকে বেশ কিছু ছাগল-ভেড়া উধাও হয়ে গিয়েছে। ফলে এলাকায় চিতাবাঘ বেরনোর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস আগে পুরুলিয়ারই কোটশিলার সিমনি বিটের জাবর পাহাড়ের জঙ্গলে জোড়া চিতাবাঘের উপস্থিতি ধরা পড়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরায়। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বান্দোয়ানের জঙ্গলেও ছাগল-শিকার চিতাবাঘের কাণ্ড হতে পারে বলে বন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন।