শুশুনিয়া থেকে জল নিয়ে দলপুর আশ্রমের দিকে যাওয়ার পথে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুণ্যার্থীর। জখম হয়েছেন পাঁচ জন। যাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচজনই ছাতনার দলপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুশুনিয়া থেকে বাঁকে করে জল নিয়ে শালতোড়া-বাঁকুড়া রাস্তা ধরে তাঁরা ছাতনার দলপুর আশ্রমের দিকে যাচ্ছিলেন। রবিবার রাতে ছাতনা থানার আঁচুড়ি এলাকায় শালতোড়ামুখী একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। জখম অবস্থায় তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তারনাথ ঢককে (২৩) মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিন জখমের মধ্যে লালমোহন কৌচালিকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং নারান ঢক ও বিপত্তারণ ঢককে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আর এক জখম ব্যক্তির চোট কম থাকায় তাঁকে প্রাথমিক পরীক্ষার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যে গাড়িটি ওঁদের ধাক্কা মেরেছে, তার খোঁজ চলছে।
উল্লেখ্য, ফি বছর শ্রাবণ মাসে জেলার নানা এলাকায় মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে যান মানুষজন। অনেকেই শুশুনিয়ার ঝর্নার জল কলসিতে ভরে পায়ে হেঁটে মন্দিরে যান। রাস্তা দিয়ে তাঁরা যাওয়ার সময়ে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটে। এই পরিস্থিতিতে শ্রাবণ মাসে পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তায় যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠছে নানা স্তর থেকেই। ওন্দার বাসিন্দা অমর নাগ, বাবু দত্তরা বলেন, “আমরা প্রতি বছরই শুশুনিয়া থেকে জল নিয়ে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরের মন্দিরে যাই। পথে বেশ কিছু জায়গায় প্রচণ্ড গতিতে গাড়িগুলো ছোটে। এ দিকে রাস্তাতে পুণ্যার্থীদের ভিড়ও বেশ থাকে। পুলিশ যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে একটু ভাবলে ভাল হয়।” জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “শ্রাবণ মাসে এমনিতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে গোটা রাস্তা জুড়ে পুলিশ দেওয়ার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। সেক্ষেত্রে গাড়ির চালক ও পুন্যার্থী উভয় পক্ষই যদি একটু সচেতন হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।”
এ দিকে, লরির ধাক্কায় বিষ্ণুপুর থানার দ্বারিকা গ্রামের কাছে মৃত্যু হল এক পঞ্চায়েত কর্মীর। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ দাস (৫৫)। তিনি দ্বারিকা-গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী। সাইকেলে বিষ্ণুপুর শহরের বোলতলার বাড়িতে তিনি ফিরছিলেন। একটি লরি আটক করে পুলিশ।