manbazar

দায়িত্বে ফের নূপুর, ‘আশাহত’ দেবেন্দ্রনাথ

দিলীপ ও দেবেন্দ্রনাথের ‘মধুর সম্পর্কের’ কথা জানেন তৃণমূলের প্রায় সকলেই। মাঝেমধ্যেই নানা ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে চলে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩২
Share:

তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে ফের ঘোষিত হল নূপুর বাউরির নাম। প্রতীকী চিত্র।

দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে, শনিবার মানবাজার ১ ব্লকের বিশরী অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে ফের ঘোষিত হল নূপুর বাউরির নাম। সূত্রের দাবি, তিনি দলীয় সমীকরণে মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ পাত্রের ‘ঘনিষ্ঠ’।

Advertisement

মাস দু’য়েক আগে জেলার সমস্ত ব্লকের অঞ্চল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। একমাত্র বিশরী অঞ্চলের নাম সে তালিকায় ছিল না। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বার জেলা সভাপতির কাছে ওই পদে নূপুরের নাম প্রস্তাব করেন দিলীপ। ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবেন্দ্রনাথ মাহাতো তার বিরোধিকা করে ওই পদে পাল্টা নাম প্রস্তাব করেন। শেষ পর্যন্ত নূপুরের নামে সিলমোহর দেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতো ও জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া।

দিলীপ ও দেবেন্দ্রনাথের ‘মধুর সম্পর্কের’ কথা জানেন তৃণমূলের প্রায় সকলেই। মাঝেমধ্যেই নানা ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে চলে আসে। দিলীপের ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে দেবেন্দ্রনাথের এবং দেবেন্দ্রনাথের ডাকা সভা-সমাবেশে দিলীপের উপস্থিতি কার্যত দেখা যায় না। মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে একে অপরকে নানা মন্তব্যে বিদ্ধ করেন দুই নেতা। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানান, জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে রাশ তেমন একটা টানা যায়নি। সে কারণেই দলের বিশরী অঞ্চল সভাপতি কাকে করা হবে, এ নিয়ে দোটানায় ছিলেন জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব বিশরী অঞ্চল সভাপতি পদে নূপূরকে পুনর্বহাল করায়, ওই এলাকায় দলের দুই গোষ্ঠীর ‘দ্বন্দ্বে’ দাঁড়ি পড়বে না বলেই মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। এই অনুমান যে নেহাত অমূলক নয়, তা ঠারেঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেবেন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘‘নূপুরের থেকেও সক্রিয় এক জন কর্মীকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বে এনে বিশরী অঞ্চলে দলীয় সংগঠন বিস্তার করতে চেয়েছিলাম। ফের নূপুরের নাম ঘোষণা হওয়ায় আমি আশাহত। তবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেব। আশা করব, উনি দুই সহ-সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই সংগঠনের কাজ করবেন।’’ আর দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দলের সব কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর, নূপুর দলের সক্রিয় কর্মী। পদ পূরণ হওয়ায় সাংগঠনিক কাজে গতি আসবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement