Coronavirus in West Bengal

Coronavirus in West Bengal: পুজোর পরেই এক দিনে ২১ আক্রান্ত, চর্চা

পুজোর ভিড়ে ঠাসাঠাসিতে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশ দিয়েছিল আদালতও।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৯:০৭
Share:

রবিবার লাভপুরে ফুল্লরা মন্দিরে ভিড়। মাস্ক নেই অনেকের। নিজস্ব চিত্র।

পুজোর পরে একদিনে ২১ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ল বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায়। রবিবারের এই তথ্য সামনে আসতেই চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, এই ঘটনা পুজোর আগে দেদার বাজার করা এবং পুজোর সময় কোভিড বিধি উড়িয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরার ফল নয় তো!

Advertisement

স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ। তাঁদের কথায়, ‘‘দিন কয়েক লাগাতার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে যদি সংক্রমণের এই চিত্র সামনে আসে তবে সে কথা বলা সম্ভব।’’

পুজোর ভিড়ে ঠাসাঠাসিতে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশ দিয়েছিল আদালতও। কিন্তু তারপরও যে ভাবে প্রতিমা দর্শন, অঞ্জলি থেকে বিসর্জন সবক্ষেত্রে কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে তাতে সংক্রমণ বাড়তেই পারে। রাজ্য সরকারের সোমবারের বুলেটিনে বীরভূমে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা অবশ্য ২২। স্বাস্থ্য কর্তাদের ব্যাখ্যা, বীরভূমের বাসিন্দা কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর অন্যত্র ধরা পড়তে পারে।

Advertisement

ঘটনা হল, পুজোর ঠিক একদিন আগেই শুধু বোলপুর মহকুমা এলাকায় এক দিনে ১৮ জনের শরীরে কোভিড ধরা পড়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায়। তারপরই তড়িঘড়ি বৈঠক করে প্রতিটি ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ ও দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি। পুজোর ক’দিন স্বস্থি দিয়ে সংক্রমণ কম থাকলেও পুজো মিটতেই ভিন্ন ছবি দেখা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিরার আরটিপিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট মিলিয়ে দেখা গিয়েছে শুধু মহম্মদবাজার ব্লকে ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এ ছাড়াও সাঁইথিয়ায় ৪ জন, নানুরে ৩ জন, সিউড়ি, বোলপুর ১জন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু ভয়টা হল পুজোর সময় এই সব আক্রান্তরা কত জনের সংস্পর্শে এসেছেন এবং নীরবে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন তা নিয়েই। তবে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার উল্টো ছবি রামপুরহাটে। এখানে গত আট দিনে মোট চার জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, অনীহার জন্য করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমলেও প্রতিদিন গড়ে ১০০০-১২০০ পরীক্ষা হলেও আগে দু-একজন সংক্রমিতের খোঁজ মিলছিল। কিন্তু পুজোর আগে থেকেই সেটা একটু একটু করে বাড়ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা ভুলে দেদার বাজার থেকে পুজোয় মেতে উঠলেন তার ফল মারাত্মক হতে পারে। এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘টিকা নিয়েছেন মানে সংক্রমিত হবেন না বা অন্যকে সংক্রমিত করবেন না এটা তো নয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সেটা বেমালুম উপেক্ষা করে গিয়েছেন। মনে রাখেননি বাড়িতে থাকা শিশুদের কথাও, যারা এখনও টিকা পায়নি।’’

বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ মৃণালকান্তি ঘোষ বলছেন, ‘‘“পরিস্থিতি বুঝতে বেশি সংখ্যক করোনা পরীক্ষা উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নবমী দশমীতে করোনা পরীক্ষা একটু কমেছিল। কিন্তু গড়ে এখন ১০০০-১২০০ পরীক্ষা হচ্ছে। তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যাতে সংক্রমণ চিত্র ধরা পড়ে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement