মেলা নয়, দূষণ বন্ধের আর্জি রেখেছি: সুভাষ

বুধবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনের একটি সভা কক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত দাবি করলেন, ‘‘পৌষমেলা বন্ধ করার জন্য নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২০
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।— নিজস্ব চিত্র

বুধবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনের একটি সভা কক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত দাবি করলেন, ‘‘পৌষমেলা বন্ধ করার জন্য নয়। মেলার দূষণ বন্ধ করার জন্যে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ তাঁর বিরুদ্ধে মেলা বন্ধ করা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সম্পূর্ণ ভুল এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও এ দিন দাবি করেন তিনি।

Advertisement

শান্তিনিকেতনের ঐতিয্যবাহী পৌষমেলায় প্লাস্টিক ও আবর্জনা ঠিক ভাবে পরিষ্কার না করে জ্বালিয়ে দেওয়া, নিষিদ্ধ জেনারেটর ব্যবহার করা, ধুলো, ধোঁয়া ও শব্দদূষণের অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষবাবু। সুভাষবাবু এ দিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “মেলা সংক্রান্ত আচরণ বিধি মেনে পরিবেশ দূষণ বন্ধ করে মেলা করার আর্জিতে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। মেলা বন্ধ করার জন্য আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি বলে, আমার নামে সম্পূর্ণ ভুল এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”

বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, সরকারি ভাবে পৌষ মেলা সাত পৌষ থেকে নয় পৌষ, তিন দিন এবং মেলা গুটিয়ে ফেলার জন্য দশ পৌষ এক দিন নিয়ে মোট চার দিনের মেলা। কিন্তু বেআইনি ভাবে মেলা চলে আরও ১০ থেকে ১২ দিন। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষে যুগ্ম কর্মসচিব (সম্পত্তি এবং লিগাল সেল) অশোক মাহাত পরিবেশ আদালতে হলফনামা দিয়েছেন। চলতি বছর ৭ মে এবং ১৩ সেপ্টেম্বর দুটি হলফনামা আদালতে দাখিল করেছেন। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষে সবুজকলি সেন আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement