যাত্রা: মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। সোমবার কংকালীতলায়। নিজস্ব চিত্র
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রথম দিনই তৎপর শাসক দল। বোলপুর বিডিও অফিসে সোমবার কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন।
কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৬টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি আসনেই সোমবার মনোনয়নপত্র জমা পড়ল। বকদৌড়, মহুলা, রাওতারা, কুঁচলি, আমডহরা, আদিত্যপুর, দক্ষিণ লায়েকবাজার থেকে এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মনোয়ার হোসেন জানান, সংরক্ষণের নিয়ম অনুযায়ী আসন সংরক্ষিত হয়েছে। এ দিন এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান ও উপপ্রধান মনোনয়নপত্র জমা দেন। কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মামন বলেন, ‘‘আজ ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হল। দু-একদিনের মধ্যেই বাকিগুলিও জমা দেওয়া হবে।’’
রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে ফুলডাঙা, তালতোর, বিনুরিয়া, রথীন্দ্রপল্লি, সীমান্তপল্লি, বাগানপাড়া, মোলডাঙা, সুরুল, দক্ষিণ হরিরামপুর, বিনোদপুররের ১১টি আসনে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা পড়ল। এ কথা জানান রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি কাজী নুরুল হুদা। বোলপুর ব্লকে তিনটি জেলা পরিষদ রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি জেলা পরিষদের জন্যই সোমবার মহকুমা প্রশাসনিক দফতরে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। রূপপুর ও সুপুর মিলিয়ে যে জেলা পরিষদ হয়েছে, তার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন তিতিকণা দাস। কসবা, সাত্তোর, কংকালীতলা ও সর্পলেহনা মিলে যে জেলা পরিষদ রয়েছে সেটির জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিশ্ববিজয় মাড্ডি।
ইলামবাজার ব্লকে ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৬টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির আসন রয়েছে ২৫টি এবং জেলা পরিষদের আসন ২টি। সোমবার ইলামবাজার বিডিও অফিসে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেখানে অন্য কোনও রাজনৈতিক দল মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। জয়দেব গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৭টি আসনে ও ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৫টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জাফারুল ইসলাম বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখেই মনোনয়নপত্র জমা পড়ছে। যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন তাঁরা জমা দিচ্ছেন।’’
বোলপুর মহকুমা প্রশাসনিক দফতরে সোমবার একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজেপির কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না।