দাবদাহে স্বস্তি ফেরাল কালবৈশাখী

বৈশাখ শুরু থেকে জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি পর্যন্ত গ্রীষ্মের দাপট ততটা তীব্র ছিল না। রবিবার তো রেকর্ড গরম পড়েছিল। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার যুগলবন্দিতে বীরভূমে অস্বস্তির মাত্রা উঠে যায় ৭০ এর উপরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০৪:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি

দিন কয়েকের প্রচণ্ড গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দিল বৃষ্টি। সোমবার দুপুরে সিউড়ি-সহ জেলার বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হওয়ায় একধাক্কায় তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নেমেছে। রেহাই মিলেছে আপেক্ষিক আদ্রতার দাপট থেকেও। এ দিন দুপুরে বোলপুরে টানা এক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল দমকা হওয়া।

Advertisement

বৈশাখ শুরু থেকে জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি পর্যন্ত গ্রীষ্মের দাপট ততটা তীব্র ছিল না। রবিবার তো রেকর্ড গরম পড়েছিল। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার যুগলবন্দিতে বীরভূমে অস্বস্তির মাত্রা উঠে যায় ৭০ এর উপরে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই মরসুমে অস্বস্তির নিরিখে এটাই সর্বোচ্চ। এই সূচক অনুযায়ী ৫৫-র বেশি হলেই অস্বস্তি শুরু হয়। ৬৫ পেরোলেই চরম অস্বস্তি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, জ্যৈষ্ঠের শুরুতে রাঢ়বঙ্গের তাপমাত্রা ৪০-৪৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। সূর্যের তেজ প্রখর থাকলেও আপেক্ষিক আর্দ্রতা তুলনায় কম ছিল। ফলে ছায়ায় বা পাখার তলায় স্বস্তি পাচ্ছিলেন মানুষজন। একটু বেশি করে জল খেয়ে, সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারলে কষ্ট সহ্য হচ্ছিল। আঁধার করে ছিল দফায় দফায় কালবৈশাখী। সেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল দিন চারেক। মাঝে একদিনও বৃষ্টি হয়নি। প্রখর সূর্যের তাপের সঙ্গে আপেক্ষিক আর্দ্রতার যুগলবন্দিতে প্রাণান্তকর অবস্থা হয়েছিল।

সূর্যের নাগালে গেলে তো কথাই নেই। বাড়িতে থাকলেও পাঁচ মিনিটেই ঘামেভিজে যাচ্ছিল জামাকাপড়। পাখার হাওয়া যেন গায়েই লাগছিল না। সকলেই অপেক্ষা করছিলেন বৃষ্টির। এ দিন দুপুরের বৃষ্টি সেই ক্ষতে যেন প্রলেপ দিল। সিউড়ি-রামপুরহাটের মতো জেলার সর্বত্র বৃষ্টি হয়নি ঠিকই। তবু বৃষ্টি না হওয়া এলাকাগুলিতে বিকেলের পরে থেকে ঠান্ডা হওয়া বইতে থাকে। তাতে গুমোট ভাবটা কেটেছে। লোকজন বলছেন, ‘‘যাক রাতে ঘুমটা অন্তত হবে।’’ সোমবার দুপুর হতেই রামপুরহাটের আকাশ জুড়ে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। স্বল্প বৃষ্টিতেই নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটিতে রামপুরহাট ছিতুনি মাঠপাড়া এলাকায় জল জমে যায়। শহরের কামারপট্টি থেকে রামপুরহাট ভাঁড়শালাপাড়া মোড় যাওয়ার রাস্তায় জল জমে যায়। বৃষ্টিতে জল জমেছে বোলপুরেও দু’একটি এলাকায়। চাষের জন্যেও সহায়ক এই বৃষ্টি। কারণ, এই সময়ের তৈরি হয় বীজতলা। তবে রাজ্যে বর্ষা আসতে এখনও দেরি রয়েছে। জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement