নানুরের বাসপাড়া বাসস্ট্যান্ডে সোমবার। নিজস্ব চিত্র
পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষার বিধি অমান্য করে নানুরে ‘শহিদ দিবস’ পালনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্য বার উপচে পড়া ভিড় হলেও এ বার লকডাউনের জেরে তত জনসমাবেশ হয়নি। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচশো কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যোগ দেন। সেখানে দূরত্বের ন্যূনতম বিধিও মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান, জেলা যুব সভাপতি বিধানচন্দ্র মাঝি, ব্লক কার্যকরী সভাপতি কাজল শেখ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন পাল প্রমুখ। কেরিম খানের অবশ্য দাবি, প্রত্যেককে মাস্ক পরে পারস্পারিক দূরত্ব মেনেই সমাবেশে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও উঠল বিধি নিয়ে অভিযোগ।
রাজ্য রাজনীতিতে নানুরের শহিদ দিবস তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০০ সালের এই দিনে নানুরের সূচপুরে ১১ জন তৃণমূল সর্মথক খুন হন। খুনের দায়ে ৪১ জন বাম তথা সিপিএম নেতাকর্মীর যাবজ্জীবন সাজা হয়। তাঁদের অনেকে এখনও সাজা খাটছেন। ওই হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখে সহানুভূতির হাওয়া পালে লাগিয়ে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় তৃণমূল। ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল রাজ্যে মুষ্টিমেয় যে কয়েকটি পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে তার ২টি ছিল নানুরের। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে থুপসড়া এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে চারকলগ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে তারা।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরের বছর থেকেই নানুরের বাসপাড়া বাসস্ট্যান্ডে শহিদবেদি গড়ে দিনটি পালনের আয়োজন করে তৃণমূল। সেই সমাবেশে মুকুল রায়, মদন মিত্র, তাপস পাল, শতাব্দী রায় থেকে শুরু করে দলের তাবড় তাবড় নেতানেত্রীরা উপস্থিত থেকেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছর হাজির থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান থেকে কাতারে কাতারে মানুষ যোগ দিয়েছেন সেইসব সমাবেশ।