তৃণমূলে আগেই যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রধান। এ বার তাঁকে অনুসরণ করে শাসক দলে নাম লেখালেন সিপিএমের উপপ্রধানও। সঙ্গে আরও এক পঞ্চায়েত সদস্য। ফলে একসময়ে সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা পাড়া ব্লকের দুবড়া পঞ্চায়েতটি পুরোপুরি তাদের দখল এল বলে দাবি করেছে তৃণমূল। দলের দুবড়া অঞ্চল সভাপতি রিয়াজ আহমেদ জানান, রবিবার বিকেলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উপপ্রধান গৌরচন্দ্র মাহাতো-সহ আরও এক সিপিএম সদস্য পূর্ণিমা মোদক। এতে ওই পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল শাসকদল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুবড়াতে ১৮টি আসনের মধ্যে সিপিএম জিতেছিল ন’টিতে। পাঁচটি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস, আর তৃণমূল জিতেছিল মাত্র চারটিতে। সিপিএম ও কংগ্রেস যৌথভাবে পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়েছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই পঞ্চায়েতে সমীকরণ দ্রুত বদলাতে থাকে। পঞ্চায়েত প্রধান মনিরা বিবি তৃণমূলে আগেই যোগ দিলেও উপপ্রধানের পদটি এতদিন ছিল বিরোধীদের দখলেই। এবার তিনি যোগ দেওয়ায় পাড়ার অন্যতম বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েতটি পুরোপুরি তৃণমূলের দখলে এল। এ মর্হূতে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টি। সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের দখলে রয়েছে বাকি ছ’টি আসন। এ দিন দুই সিপিএম সদস্যর হাতে দলীয় পতাকা তুলে তাঁদের তৃণমূলে স্বাগত জানান পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরি ও তৃণমূলের পাড়া ব্লক সভাপতি রামলাল মাহাতো, পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা বাউরি প্রমুখ।
মূলত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গৌরচন্দ্রবাবু। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতোই দুবড়াতেও ভয়, প্রলোভন দেখিয়ে বিরোধীদের ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছে শাসকদল। এই অভিযোগ মানতে চাননি উমাপদবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। বিরোধীদের মধ্যেও অনেকেই বুঝেছেন, প্রকৃত উন্নয়ন তৃণমূলই করতে পারবে। তাই তারা আমাদের দলে আসছেন।”