দমকল এ বার তালড্যাংরাতেই

তালড্যাংরা ব্লক থেকে বাঁকুড়া শহরের দুরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। খাতড়া মহকুমা সদর প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। এই এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে এত দিন বাঁকুড়া দমকল কেন্দ্রের উপরেই নির্ভর করতে হত এলাকার মানুষজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

জেলার তিনটি মহকুমায় ইতিমধ্যেই দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এ বার খাতড়া মহকুমার তালড্যাংরা ব্লকেও অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র চালু হতে চলেছে। আজ, শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সেটির উদ্বোধন হওয়ার কথা।

Advertisement

তালড্যাংরা ব্লক থেকে বাঁকুড়া শহরের দুরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। খাতড়া মহকুমা সদর প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। এই এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে এত দিন বাঁকুড়া দমকল কেন্দ্রের উপরেই নির্ভর করতে হত এলাকার মানুষজনকে। অন্য দিকে, খাতড়া শহর থেকে দূরত্ব বেশি হওয়ায় দমকল আসতে দেরি হত সিমলাপাল, সারেঙ্গা, রাইপুর, ইঁদপুর ব্লকেও। তবে তালড্যাংরায় দমকল কেন্দ্র চালু হলে সমস্যা মিটবে বলেই আশাবাদী দক্ষিণ বাঁকুড়ার ওই সব ব্লকের মানুষজন।

তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী বলেন, “এই এলাকায় এসেই আমি বুঝেছিলাম, দমকলের সমস্যায় একটা বিস্তীর্ণ অংশ ভুগছে। তালড্যাংরায় একটি দমকলকেন্দ্র হলেই সমস্যা মিটতে পারে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তালড্যাংরা ব্লক দফতরেই অস্থায়ী ভাবে চালু হচ্ছে ওই দমকল কেন্দ্র। একটি ইঞ্জিন থাকবে। তবে দমকলের অনেকেই জানাচ্ছেন, কর্মীর অভাবে জেলার তিনটি মহকুমা শহরের দমকল কেন্দ্র চালাতে গিয়েই নানা সমস্যা হচ্ছে। তালড্যাংরার দমকল কেন্দ্রের জন্য নানা দমকল বিভাগ থেকে কর্মী বদলি করে নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে অন্য দমকলকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোগত সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে সেই সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক।

Advertisement

বিডিও (তালড্যাংরা) সৌরভ মজুমদার জানান, অস্থায়ী এই দমকল কেন্দ্রের কর্মীদের ব্লক দফতরেই থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্থায়ী দমকল কেন্দ্রের জন্য নতুন ভবন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement