নিশানায় কিশোরী মা

জানালা থেকে পড়ে মৃত্যু সদ্যোজাত শিশুর

হাসপাতালের জানালা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক সদ্যোজাত শিশুকন্যার। সোমবার দুপুরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তারই মায়ের দিকে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত শিশুর মা অবিবাহিত। শৌচালয়ের জানালা থেকে বয়সে নাবালিকা ওই মা-ই শিশুটিকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে সে হাসপাতালেরই প্রসূতি বিভাগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ০০:৫০
Share:

তখনও লেগে রক্তের দাগ। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালের জানালা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক সদ্যোজাত শিশুকন্যার।
সোমবার দুপুরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তারই মায়ের দিকে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত শিশুর মা অবিবাহিত। শৌচালয়ের জানালা থেকে বয়সে নাবালিকা ওই মা-ই শিশুটিকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে সে হাসপাতালেরই প্রসূতি বিভাগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়েটির বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ পেট ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা ওই মেয়েটি। কিশোরীর বাবার বক্তব্য, ‘‘মেয়ে ক’ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল জানি না। মাস দু’য়েক আগে আমি ওর মায়ের কাছ থেকে জানতে পারি মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।’’ তিনি জানান, এ দিন সকালে পেটে ব্যাথা শুরু হলে মেয়েকে তিনি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ভর্তির কাগজ নিয়ে তিনতলায় প্রসূতি বিভাগে ঢোকার আগে তাঁর মেয়ে বাথরুমে যায়। তাঁর দাবি, ‘‘কিছু ক্ষণ পরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসতেই মেয়ের গায়ে রক্তের দাগ। পরে শুনতে পাই মেয়ে বাথরুমের ভিতরেই প্রসব করে। বাথরুমের জানালা থেকে সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে দিয়েছে।’’ এর পরেই তাঁর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা মেয়েটির বাবাকে আটক করে।
এ দিকে, হাসপাতালের সুপার সুবোধ মণ্ডল জানান, এ দিন দুপুরে জরুরি বিভাগে দেখানোর পরে ওই মেয়েটি প্রসূতি বিভাগের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ হীরককান্তি দাসের অধীনে ভর্তি হয়। কিন্তু, প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার আগে কিশোরীটি বাথরুমের যায়। সুবোধবাবু বলেন, ‘‘বাথরুমেই ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ সে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে। পরে সঙ্গে সঙ্গে জানালা থেকেই সদ্যোজাত শিশুটিকে নীচে ফেলে দেয়।’’ তাঁর অনুমান, সম্ভবত ‘লোকলজ্জা’গত প্রবল চাপ থেকেই মেয়েটি এমন কাণ্ড করে ফেলেছে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালের তিন তলায় প্রসূতি বিভাগের বাথরুম থেকে সদ্যোজাতকে ফেলা হয়েছে। শিশুটির রক্তের দাগ হাসপাতালের দেওয়ালে লেগে আছে।

Advertisement

ওই শিশুটিকে তিনতলার বাথরুম থেকে নীচে পড়তে দেখেছেন মিঠু শেখ নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ‘‘উপর থেকে একটা শিশু পড়ছে দেখে অবাক লাগল। শিশুটা নীচে পড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে নীচে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দিই।’’ হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ঘটনার কথা শোনার পরেই তাঁরা প্রসূতি বিভাগে ছোটেন। তত ক্ষণে শিশুটির মাকে নার্সেরা লেবার রুমে নিয়ে গিয়েছেন। কিশোরীর বাবা উপর থেকে নীচে নামার জন্য লিফটে চাপার চেষ্টা করছিলেন। তখনই তাঁকে ধরে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement