পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
নানুরের বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইকে গুলি করে খুনের প্রতিবাদে সোমবার থেকেই সিউড়িতে জেলা পুলিশের সুপারের কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসেছে জেলা বিজেপি। ধর্নার দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন বিজেপি নেতৃত্ব।
মঙ্গলবারের ধর্নায় দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল এবং অন্য নেতারা তো ছিলেনই, বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ মঞ্চে আসেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনিই পুলিশ ও তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। স্বরূপের দেহ ঘিরে যে টানাপড়েন চলছে, তা উল্লেখ করে শ্যামাপদ বলেন, ‘‘মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি! যখন গুলিবিদ্ধ কর্মীকে নিয়ে তাঁর পরিবার ও দলের কর্মীরা কলকাতায় গিয়েছিলেন, তখন কোথায় ছিল পুলিশ? আর এখন দেহ পরিবারের হাতে দিতে চাইছে না।’’ তাঁর অভিযোগ, প্রকৃত দুষ্কৃতীদের নয়, পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁদেরই দলের লোকেদের। সবই শাসকদলের নির্দেশে। তাই ধর্না চলবে।
সৌমিত্র দাবি করেন, ‘‘পুলিশকর্মীরা আমাকে জানিয়েছেন, ওসি-রা শাসকদলের ব্লক সভাপতির ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁরাই জানিয়েছেন, তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। অন্য দিকে জেলা সভাপতি এখানে এসপি হয়ে গিয়েছেন।’’ এই অভিযোগের অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের কাছে। এখানেই না থেমে, অনুব্রত মণ্ডল মামলা থেকে বাঁচতে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। যা শুনে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত বলছেন, ‘‘রাজনৈতিক বোধই নেই সৌমিত্রর! তাই এমন কথা বলছে। কোনও মামলাও নেই আমার বিরুদ্ধে। বিজেপিতে যাব আমি, পাগল নাকি!’’