পাশে: কেন্দার টুরুহুলু গ্রামে শান্তিরাম মাহাতো। ছবি: সুজিত মাহাতো
বিবাদের জেরে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। গেলেন বিজেপি নেতারাও।
বুধবার রাতে কেন্দা থানার টুরুহুলু গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে খুন হন লালমোহন মাহাতো ও তাঁর ছেলে দীপক। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, বিষয়টি পারিবারিক বিবাদ। কিন্তু বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের মদতে তাঁদের সক্রিয় নেতাদের খুন করা হয়েছে। গোড়া থেকেই রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ উড়িয়ে আসছে তৃণমূল।
শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রী টুরুহুলু গ্রামে যান। দু’টি আলাদা খামে দীপকের স্ত্রী রানিবালা এবং লালমোহনের স্ত্রী পরিবালার হাতে এক লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। শান্তিরাম বলেন, ‘‘দু’জন উপার্জনকারী এক সঙ্গে মারা গেলেন। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাঁদের বলেছি, সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।’’
এ দিন মন্ত্রীর আগে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারা। শান্তিরামের যাওয়া প্রসঙ্গে বিদ্যাসাগর বলেন, ‘‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে।’’
যদিও শান্তিরামের বক্তব্য, ‘‘তদন্ত হবে। আইন মেনে দোষীদের শাস্তি হবে। আমরা একটি শোকাতুর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।’’
এ দিন লালমোহনের স্ত্রী পরিবালা বলেন, ‘‘আমাদের তো আসল লোকই চলে গেল। মন্ত্রী বাড়িতে এসেছেন দেখে ভরসা পেলাম।’’
অন্য দিকে, ওই জোড়া খুনের ঘটনায় ছ’জন অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম পান্নালাল মাহাতকে পুলিশ বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছিল। পান্নালাল এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। অভিযুক্ত অন্য তিন জনের বাঁকুড়ায় চিকিৎসা চলছে। বাকি দু’জনের খোঁজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়নি পুলিশ। দুই পরিবারের চার জন জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এফআইআরে নাম থাকা দুই অভিযুক্তের সন্ধান চলছে।’’