মিল্টন রশিদ। নিজস্ব চিত্র
বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হলেন হাঁসনের বিধায়ক মিল্টন রশিদ। তিনি সঞ্জয় অধিকারীর জায়গায় এই পদে এলেন। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে মিন্টন রশিদকে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে বলে জানানো হয়। মিল্টনের পাশাপাশি জেলায় চার জন কার্যকরী সভাপতির নামও জানানো হয়েছে।
রামপুরহাট কলেজে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়ে রাজনীতিতে প্রথম বার পরিচিত পান মিল্টন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে হাঁসন কেন্দ্রে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের মিল্টন রশিদ। তৃণমূলের প্রবল হাওয়াতেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, হাঁসনের দীর্ঘদিনের বিধায়ক অসিত মালকে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন। কংগ্রেসের কর্মীরাই মানছেন যে, খুব কঠিন সময়ে বীরভূমে মিল্টনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল। তৃণমূল ও বিজেপি-র দাপটে এই জেলায় কংগ্রেসের সংগঠন কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। বামেদের সঙ্গে বর্তমানে কিছু যৌথ কর্মসূচি হচ্ছে। না হলে কংগ্রেসের নিজস্ব কর্মসূচি জেলায় ছিল না বললেই চলে। তবে, মিল্টনের মতো তরুণ ও উৎসাহী নেতাকে পেয়ে কর্মীরা কিছুটা মনোবল পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে এ দিন জেলার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কংগ্রেস নেতৃত্ব যে দায়িত্ব আমার উপরে দিয়েছেন, সেটা সম্মানের সঙ্গে পালন করাটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জেলায় কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে প্রত্যেক কর্মীকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের হয়ে কাজ করতে পারলেই মানুষ আমাদের ভালবাসবেন বলে আমি মনে করি।’’ মিল্টন এত দিন ছিলেন কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরেই ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জানিয়ে দেন। সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। দল যা ভাল বুঝেছে, করেছে। দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে ছিলাম, থাকবও।’’