মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই হুড়ায় এই পথের সাথীর উদ্বোধন হতে পারে।—নিজস্ব চিত্র।
দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় এসে পুরুলিয়া জেলার উন্নয়নমূলক কাজের খোঁজখবর নিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে তিনি পুরুলিয়ায় ঢুকছেন। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, তবে এ বার আর জেলা পরিষদ সভাকক্ষে নয়, বৈঠক হবে নতুন করে সেজে ওঠা রবীন্দ্র ভবনে। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক থেকে বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্যরা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরাও বৈঠকে থাকবেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠক থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈঠকে নবান্ন থেকেও একঝাঁক সচিব উপস্থিত থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
এ বার মুখ্যমন্ত্রীর রেলপথে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুরুলিয়া স্টেশনের নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী ও পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার স্টেশনে গিয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে এসেছেন। তিনি ট্রেনে যদি আসেন, তাহলে যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চান না তাঁর জন্য সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েন। সে দিকটি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’
জেলাশাসক বলেন, ‘‘বৈঠকের রূপরেখা এখনও ঠিক হয়নি। তবে যে সমস্ত কাজ চলছে তা পর্যালোচনা করার পাশাপাশি আগামী দিনে কী ভাবে উন্নয়নের কাজ করতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠক শেষ করে তিনি বোলপুরে যাবেন। পথে হুড়ায় একটি ‘পথের সাথী’ মোটেলের উদ্বোধন করতে পারেন। তবে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জেলা পরিষদের দলনেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাঝখানে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তিনমাস সময় নষ্ট হয়েছে। এ বার যাতে প্রশাসনিক কাজের ও উন্নয়নমূলক কাজের গতি বাড়ানো যায়, সেই বিষয়টিই বৈঠকে প্রাধান্য পাবে।’’ আপাতত তুমুল ব্যস্ততা পুলিশ-প্রশাসনের অন্দরে।