অবশেষে সংস্কার শুরু

অবশেষে সাঁইথিয়া-চৌহাট্টা রাজ্য সড়ক সারানোর কাজে হাত দিল পূর্ত দফতর। অনেকদিন থেকেই এই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয় লোকজন। রাস্তার আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তার অধিকাংশ জায়গা খানাখন্দে ভরা। এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাই দায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ০০:২০
Share:

বেহাল সাঁইথিয়া-চৌহাট্টা রাস্তা। ছবিটি তুলেছেন অনির্বাণ সেন।

অবশেষে সাঁইথিয়া-চৌহাট্টা রাজ্য সড়ক সারানোর কাজে হাত দিল পূর্ত দফতর। অনেকদিন থেকেই এই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয় লোকজন। রাস্তার আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তার অধিকাংশ জায়গা খানাখন্দে ভরা। এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাই দায়। অথচ সেই রাস্তা দিয়েই যাত্রী বোঝাই বাস থেকে বড় বড় ভাড়ি গাড়ি ২৪ ঘন্টা যাতায়াত করছে। ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সঠিক ভাবে সারানোর দাবি জানিয়ে আসছে প্রশাসনের কাছে। কারণ মাত্র আড়াই তিন বছর আগে সারানো রাস্তার এত তাড়াতাড়ি এমন বেহাল দশা হয়ে পড়বে তা ভাবা যায় না। পূর্ত দফতরের পক্ষে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, নিয়ম মেনেই রাস্তা সারানো হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত ভারী গাড়ি যাওয়ার ফলে কোথাও কোথাও রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে তিন বছরে রাস্তা খারাপ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় বলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি।

Advertisement

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, সাঁইথিয়া-লাভপুর রাজ্য সড়কের সাঁইথিয়া থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রাস্তা দফতরের সড়ক বিভাগের অধীনে। দীর্ঘদিনের বেহাল এই রাস্তাটি বছর তিনেক আগে সংস্কার করা হয়। কিন্তু দু’তিন বছরের মধ্যেই ফের রাস্তার যত্র তত্র খানাখন্দে ভড়ে যায়। ফুটে ওঠে বেহাল দশা। সাঁইথিয়া হাইস্কুলের কাছের বাসিন্দা বাদল ভকত, মুরাডিহি কলোনীর প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়, নিত্য বাগদি, চৌহাট্টার শেখ মন্টু, সাঁইথিয়ার বাস মালিক ষষ্ঠী ঘোষরা জানান, ওই রাস্তায় অতিরিক্ত ভারী গাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তার অবস্থা কি ভয়ঙ্কর হয়েছিল তা বলে বোঝানো যাবে না। দীর্ঘ দিন দাবি জানানোর পর রাস্তা সংস্কার হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা বেশি দিন টিকল না। রাস্তা সারানোর বছর তিনেকের মধ্যেই রাস্তার হাল বেহাল।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাস্তা বেহাল হওয়ার প্রধান কারণ, বালি ও পাথর ভর্তি অতিরিক্ত ভাড়ি গাড়ি চলাচল। কাজেই সকলের দাবি, যখন ওই রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত ভারি গাড়ি চলাচল করে, তখন রাস্তাটি ওই রকম গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করে করা প্রয়োজন। না হলে অল্প দিনেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়বে।

Advertisement

পূর্ত দফতরের (সড়ক) অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হেমন্ত বকসি এলাকা বাসির করা অভিযোগ ‘অতিরিক্ত ভারী গাড়ি’ চলাচলের জন্যই রাস্তার এই বেহাল দশার কথা মেনে নেন। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত রাস্তার খানাখন্দ ও সংস্কারের জন্য তিনটি টেন্ডার মাধ্যমে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার কাজ দিন কয়েক আগেই শুরু হয়ে গেছে। এবং রাস্তাটি ভারী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করে তোলার জন্য রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা জমা দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement