সিউড়িতে আজ মহামিছিল বিজেপির, লক্ষ্য বিপুল জমায়েত

তৃণমূলের শান্তি মিছিলের ‘পাল্টা হিসেবে’ সিউড়িতে মহামিছিল করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। আজ, সোমবার সকাল ১১টায় ওই মিছিলে থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৪
Share:

তৃণমূলের শান্তি মিছিলের ‘পাল্টা হিসেবে’ সিউড়িতে মহামিছিল করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। আজ, সোমবার সকাল ১১টায় ওই মিছিলে থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের। রবিবার সিউড়িতে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়।

Advertisement

তবে এ দিনের কর্মসূচিকে তৃণমূলের পাল্টা বলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের যুক্তি, গত ১১ এপ্রিল সিউড়িতে হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষে এক মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। তখনই প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। এ দিনের মহামিছিলের ঘোষণা তারই অঙ্গমাত্র। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ওই মিছিলে পা মেলানোর কথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতানেত্রীদের।

বিজেপি-র লক্ষ্য, এ দিনের মিছিলে অন্তত ২০ হাজার কর্মী-সমর্থক হাজির করা। সে জন্যে তিনটি মহকুমা থেকে আড়াইশো বাস নেওয়া হয়েছে। মিছিলটি চাঁদমারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসনিক ভবনের পাশ দিয়ে গিয়ে চৈতালি মোড়ের কাছে ডান দিকে বাঁক নিয়ে মিছিলটি শেষ হবে জেলা স্কুলের মাঠে। তারপর প্রতিবাদ মিছিল হবে। সেখানে কোনও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না, এই শর্তেই পুলিশ-প্রশাসন সভার অনুমতিও দিয়েছে। ঘটনা হল, গত রবিবার এই পথ ধরেই এগিয়েছিল তৃণমূলের শান্তি মিছিল।

Advertisement

রামনবমীর দিন সিউড়ির কড়িধ্যায় অস্ত্র মিছিল হয়েছিল। দলীয় পতাকা না থাকলেও মিছিলের নেতৃত্ব ছিলেন বিজেপি এবং সঙ্ঘের নেতারা। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। সে দিন পুলিশের অনুমতিতে মিছিল হলেও পরে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে পুলিশ। পরে হনুমানজয়ন্তীর মিছিল ধিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন ছিল, একটি অরাজনৈতিক মিছিলে লাঠি চার্জ কেন হবে। উল্টো দিকে প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রশংসা করে শাসকদল। এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সুস্থিরতা নষ্ট করার অভিযোগ তুলে জেলার তিন মহকুমায় শান্তি মিছিল করার ঘোষণা করে তৃণমূল।

এ দিন আবার মহামিছিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানাল বিজেপি। যা দেখে অনেকের মনে হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনীতির ময়দানে নিজেদের সোচ্চার উপস্থিতির কথা জানান দিতে চাইছে বিজেপি। বর্তমান শাসকদলের মোকাবিলা বাম কিংবা কংগ্রেস নয়, তারাই করতে পারে— কৌশলে এমন বার্তা দেওয়ার চেষ্টাও তাতে থাকছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement