তারুণ্যের হাতে রাশ অনেকটাই

এ বারের লোকসভায় বাঁকুড়া জেলায় ভোটের পাল্লা অনেকটাই ভারী অল্প বয়সিদের দিকে।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় 

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০১:২৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এ বারের লোকসভায় বাঁকুড়া জেলায় ভোটের পাল্লা অনেকটাই ভারী অল্প বয়সিদের দিকে।

Advertisement

জেলায় দু’টি লোকসভা কেন্দ্র। বাঁকুড়া আর বিষ্ণুপুর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়া কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ১৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ২২৫ জন। যার মধ্যে ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সি ভোটার ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৬১ জন। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৫২ জন। তার মধ্যে ১৮ তেকে ৩৯ বছর বয়সের ভোটার ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৪৮ জন। দু’টি জায়গাতেই ভোটব্যাঙ্কের অর্ধেকের কাছাকাছি যুব প্রজন্মের হাতে। নতুন ভোটারদের ভোটের গুরুত্ব বুঝিয়ে বুথমুখী করতে নানা পদক্ষেপ করছে জেলা প্রশাসন। রাজনৈতিক দলগুলিও প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তারুণ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা বিষয়ে।

বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সব্যসাচী সরকার জানান, নতুনদের ভোটের নানা ব্যাপারে ওয়াকিবহাল করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্কুলকলেজে গড়া হয়েছে ‘ইলেক্টরাল লিটারেসি ক্লাব’। এখনও পর্যন্ত জেলার ৩০১টি স্কুল এবং ২৭টি কলেজে এমন ক্লাব হয়েছে। ক্লাব গড়া হয়েছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। প্রতিটি জায়গায় এক জন করে শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে পরিচালনার দায়িত্ব।

Advertisement

যাঁরা বুথে ভোট দিতে যাবেন, তাঁদের সবার স্কুল কলেজে যাওয়ার সুযোগ হয়নি— এ কথাও বিলক্ষণ জানে প্রশাসন এবং কমিশন। ফলে এর বাইরেও বুথে বুথে ‘নির্বাচনী পাঠশালা’ গড়ার হচ্ছে। জেলায় মোট বুথ ৩,২৫৯টি। তার মধ্যে ২,৩০০টিতে পাঠশালা চালু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বুথে বুথে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। নতুন প্রজন্মের মন পেতে উঠেপড়ে লেগেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। জেলা তৃণমূল নেতা অরূপ খান আত্মবিশ্বাসী। তাঁর দাবি, “রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে ছাত্র ও যুব সমাজ। তাঁরা আমাদের পাশে রয়েছেন।’’ বিজেপির রাজ্য নেতা সুভাষ সরকার আবার বলছেন, ‘‘তৃণমূল সরকার যুব প্রজন্মকে রোজগারের সুবিধা করে দিতে ব্যর্থ। বুথে বুথে গিয়ে আমরা সেটাই তুলে ধরছি।’’

এ বারে প্রথম ভোট দিতে যাবেন বড়জোড়ার থানাগোড়ার আর্য ঘোষ অর্ক ঘোষ। দুই ভাই। দু’জনেই এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন।

কী ভাবে তাঁরা দেখছেন এই ভোটকে? কী ভাবছেন?

অর্ক বলেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন আর বেকারত্ব পুরোপুরি দূর করতে শক্তিশালী স্থায়ী সরকার দরকার। ভোট দেওয়ার আগে তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হবে।’’

আর্যও বলছেন একই কথা। তিনি জানাচ্ছেন, কয়েক সেকেন্ডে ভোট দেওয়া হয়ে যাবে। তবে তার আগে অনেক ভাবনাচিন্তা করে বুথের দিকে যাবেন। বলেন, ‘‘ভোট দিলেই তো মিটে যাবে না। তার পরের দিনগুলোয় আমাদের ভবিষ্যত নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement