তৃণমূলের সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
তিন প্রার্থী। তিন জনেই শুক্রবার খাতড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে নামলেন। কার সঙ্গে কত ভিড়, তা নিয়ে প্রার্থীরা কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না একে অন্যকে।
শুক্রবার সকালে ইঁদপুরের ভেদুয়াশোল পঞ্চায়েতের বনকাটা, মৌলাডাঙা, গোবিন্দপুর-সহ একাধিক গ্রামে হুড খোলা জিপে চেপে প্রচার করেন তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, ছাতনার বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক, ইঁদপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৌমিত্র পতি প্রমুখ।
শুক্রবার বিকেলে তিনি ইঁদপুর পঞ্চায়েতের ইঁদপুর, পুরুষোত্তমপুর, বাংলা বাজার-সহ বিভিন্ন গ্রামে রোড শো করেন।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ, সুব্রতবাবুর সঙ্গে খুব বেশি ভিড় দেখা যায়নি। পাশের খাতড়া ব্লকের সুপুর, আড়কামা, বৈদ্যনাথপুর, ধানাড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে সকাল থেকে প্রায় তিন হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে এ দিন প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। প্রচারে সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শ্যামল সরকার। কখনও হুডখোলা জিপে, কখনও হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন সুভাষবাবু। তারই ফাঁকে দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী তো কাছেই প্রচার করছেন। শুনলাম তাঁর সঙ্গে তেমন লোকজন নাকি নেই! শুধু দামি গাড়ির সারি।’’ যা শুনে সুব্রতবাবুর দাবি, ‘‘গরম কী কম পড়েছে? দিনভর প্রচার চলছে। লোকজন আসছেন, যাচ্ছেন। সব সময় মানুষের মাঝে রয়েছি। দেখবেন, মানুষ তৃণমূলকেই জেতাবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএম প্রার্থী অমিয় পাত্র তালডাংরা বিধানসভা এলাকার পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লালবাঁধ, পাটাতেতুঁল, ভেতুয়াডাঙা, গরাই জামবেদিয়া, তেলি জামবেদিয়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে নির্বাচনী প্রচার চালান।
উল্লেখ্য, পূর্ব তালডাংরার এই এলাকা থেকেই অমিয়বাবুর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। এখান থেকেই স্থানীয় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, এলাকার বিধায়ক, দলের জেলা সম্পাদক, খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক থেকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমানে লোকসভার প্রার্থী।
এ দিন অমিয়বাবুকে পেয়ে এলাকা বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখা যায়। অমিয়বাবুও তাঁদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের ফাঁকে ভোট প্রার্থনাও সারেন।