প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরে রামপ্রসাদ দাস। নিজস্ব চিত্র
দুজনেই বিশ্বভারতীর সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক। একজন প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। যিনি তৃণমূলের হয়ে জিতে দল থেকে বহিষ্কারের পরে এখন যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। আর এবার সেই বোলপুর কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী হলেন অনুপমেরই সহকর্মী রামপ্রসাদ দাস।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যেই তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। বীরভূমের দুই লোকসভা কেন্দ্র বীরভূম এবং বোলপুরে বিজেপির প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরে জোরকদমে সব দলগুলিই প্রচার শুরু করেছে।
জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে রামপ্রসাদবাবু বিজেপির হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দুবরাজপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়েই লড়েছিলেন। এ দিন প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম শোনার পর রামপ্রসাদবাবু বললেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই একটা মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সেই মূল্যায়নের ফল ইতিবাচক ছিল বলেই লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য হল কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে চাওয়া। তিনি কাজ করছেন। আমরা হাতে হাত মিলিয়ে তাঁকে আরও কাজ করার সুযোগ করে দিতে চাই।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে রামপ্রসাদবাবুর নাম ঘোষণা হওয়ায় খুশি জেলা বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকেরা। তাঁদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রার্থী হিসেবে রামপ্রসাদবাবুকেই চেয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের কথা শোনায় আমরা খুশি।’’ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নানুরের বনগ্রামের বাসিন্দা রামপ্রসাদবাবু বোলপুর ‘বি’ গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি। দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছেন।’’
নির্বাচনী প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হবেন বলেই আশা করছেন কর্মীরা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক অনুপম হাজরা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তৃণমূল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে অনুপমবাবু এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। বিশ্বভারতীর সেই সমাজকর্ম বিভাগেরই অধ্যাপক বিজেপির বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী রামপ্রসাদবাবু হওয়ায় ভোটের লড়াই যে টানটান হবে তা মনে করছেন বিশ্বভারতীর একাংশও।