কবিতা দত্ত। ছবি: সঙ্গীত নাগ
আশি বছরের কবিতা দত্ত আর সদ্য তরুণী পামেলা পারভিন, দু’জনেই এ বার মনিপুর গ্রামের প্রথম ভোটার। যত্নে গুছিয়ে রাখা ভোটার কার্ড নিয়ে সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন বুথে।
প্রতিবন্ধী ভোটারদের নাম তালিকায় তুলে তাঁদের বুথে আনার ব্যাপারে বিশেষ নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আদ্রার মনিপুর গ্রামের কুষ্ঠ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বৃদ্ধাশ্রম ‘অবশেষে’-র চল্লিশ জনের ভোটারকার্ড হয়েছে। সবাই ষাট পেরিয়েছেন। বাঁকুড়ার কবিতা দত্ত কুষ্ঠ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পরে পরিবারের সবাই মুখ ফিরিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে গত দু’বছর তিনি ওই বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা। এলাকায় রয়েছে কুষ্ঠ কলোনি। কুষ্ঠ আক্রান্ত পরিবারের পামেলা পারভিন, অমরনাথ বাউড়ি, মহেন্দ্র পাত্রদের ভোটাধিকার হয়েছে।
সকাল থেকেই প্রবল ব্যস্ত ছিলেন মণিপুর কুষ্ঠ পুনর্বাসন কেন্দ্রের সম্পাদক নবকুমার দাস। একে পাঠাচ্ছেন হুইল চেয়ার আনতে। তাকে বলছেন, সবাই ভোটার কার্ড নিয়েছে কি না সেটা দেখে নিতে। কুষ্ঠ আক্রান্ত যে সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার হাঁটাচলায় সমস্যা হয়, তাঁদের হুইল চেয়ারে বসিয়ে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের বুথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে।’’ ভোট দিয়ে বেরিয়ে পঁচাত্তর বছরের আলোমণি রুইদাস, একাত্তর বছরের সুকুরমণি মাহাতোরা হুইল চেয়ারে বসে বলেন, ‘‘মেশিনে ভোট দিলাম। এমন একটা দিন আসতে পারে, সেটা ভাবতেও ভুলে গিয়েছিলাম।’’