এই পাহাড় ঘিরে উঠছে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি। ছবি: সঙ্গীত নাগ
দীর্ঘসময় ধরে পাহাড় থেকে ‘অবৈধ’ ভাবে পাথর কাটা হয়েছে। তার জেরে পাহাড়ের মধ্যেই এক প্রান্তে তৈরি হয়েছে বড় মাপের জলাশয়। ভবিষ্যতে পাহাড়ে যাতে পাথর কাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়, সেই লক্ষ্যে পাহাড় ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি তুললেন গ্রামবাসীর একাংশ। পাড়া ব্লকের পাহাড়িগোড়া পাহাড়টিকে রক্ষা করতে ওই দাবিতে সম্প্রতি পাড়া ব্লকে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি’ নামের এলাকার একটি সংগঠন। তাদের বক্তব্য, পাড়া ব্লকের অন্য দ্রষ্টব্যগুলিকে নিয়ে পাহাড়কে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করুক প্রশাসন। বিডিও (পাড়া) গৌতম মণ্ডল জানান, কমিটির দাবি জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অবৈধ পাথর কারবারিদের দৌরাত্ম্যে আস্তে আস্তে উধাও হয়ে যাচ্ছে গোটা পাহাড়। পাহাড়িগোড়ার ওই পাহাড়কে ঘিরে সম্প্রতি এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন স্থানীয়েরা। প্রশাসন থেকে শুরু করে ভূমি দফতর ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছেও জমা পড়েছিল অভিযোগ। পাহাড়ের আশপাশে থাকা পাহাড়িগোড়া, সিন্দুরপুর-সহ পাঁচ-ছ’টি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাথর কেটে নেওয়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্টহচ্ছে। বাড়ছে দূষণ। তবে ভূমি দফতরের দাবি ছিল, অভিযোগ পাওয়ার পরেই এলাকায় আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। দেখা যায়, পাহাড় কাটার কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে।
তবে ‘পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি’-র দাবি, বর্তমানে ওই পাহাড় থেকে পাথর কাটার কাজ বন্ধ থাকলেও যে কোনও সময়ে তা আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পাহাড়কে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে সেই ভয় থাকবে না। কমিটির প্রস্তাব, প্রথম ধাপে পাহাড়ে অন্তত একটি পার্ক তৈরি করে দিক প্রশাসন। পরের ধাপে পুরোদস্তুর পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করা হোক।
কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো, কর্মকর্তাদের অন্যতম কৃষ্ণপদ মাহাতোরা বলেন, ”পাহাড়িগোড়া পাহাড়টি ষাট একর জমিতে আছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ে খনন কাজ হয়েছে। এখন পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ। তবে ভবিষ্যতেও যাতে তা শুরু না হয়, সেই লক্ষ্যে পাহাড় ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”
বিডিও বলেন, ”পাহাড়িগোড়া পাহাড়ের বড় অংশই রায়তি সম্পত্তি। ওখানে পর্যটনকেন্দ্র বা পার্ক তৈরি করতে গেলে রায়তদের সম্মতি প্রয়োজন। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”