বোলপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি না-পাওয়া নিয়ে শনিবার বোলপুরে কাকুটিয়া এলাকায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই অভিযোগের ২৪ ঘণ্টা পরেই বীরভূম জেলায় আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। বছরে ১০০ দিনের কাজেও কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
শনিবার কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে একাধিক কর্মসূচি সেরে বোলপুর লাগোয়া কাকুটিয়া গ্রামে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানেই গ্রামবাসীরা তাঁর কাছে আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জানান। রবিবার বোলপুরের একটি হোটেলে বোলপুর বিধানসভা ও লোকসভার বিজেপি কার্যকর্তাদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, বোলপুর লোকসভার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা, বোলপুর সাংগঠনিক জেলার ইন-চার্জ সন্দীপ নন্দী, সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল।
দলীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যেকটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনের ঘাটতি মিটিয়ে বুথ কমিটি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা এলাকার মানুষ পেয়েছেন কি না, তা নিজেরা এলাকায় ঘুরে খতিয়ে দেখার উপরে জোর দিয়েছেন পাটিল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাটিল বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আমাদের কার্যকর্তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হওয়া দরকার।’’ তাঁর অভিযোগ, এখানে বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অপব্যবহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষের আবেদন দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। উপরন্তু তাঁদের পাওনা ঘর বাতিলের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘নিশ্চিত ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, গরিব মানুষের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।’’ পাটিলের দাবি, বীরভূম থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। সেই সবের সমীক্ষা করা হবে।
১০০ দিনের কাজেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পাটিল। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, “ওঁরা নানা রকম অজুহাত খুঁজে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করার জন্য। তার জন্য এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন। এ-সবের মধ্যে সত্যতা কিছু নেই।”