নবনির্বাচিত জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ কে নানুরে সংবর্ধনা। —নিজস্ব চিত্র।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেও তাঁকে বগটুইয়ের যে বাড়তি দায়িত্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন সেই দায়িত্ব তিনি যথার্থ ভাবেই পালন করবেন বলে জানিয়ে দিলেন কাজল শেখ। সেই সঙ্গে ‘ভাল কাজ’ না করলে সরে যেতে হবে বলেও পঞ্চায়েতের পদাধিকারী দলীয় সতীর্থদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এ বছর মার্চে বিজেপির ধর্নামঞ্চে দেখা গিয়েছিল বগটুই গ্রামের স্বজনহারা ফটিক শেখ ও মিহিলাল শেখকে। দলের অন্দরের খবর, তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন বগটুই কাণ্ডের পরে রাজ্য সরকার স্বজনহারাদের জন্য নানা সাহায্য, চাকরির ব্যবস্থা করলেও তাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন কেন? তখনই মুখ্যমন্ত্রী কাজল শেখকে বগটুই ‘দেখার’ কথা বলেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি। বুধবার বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন কাজল। তার একদিন পরেই, বৃহস্পতিবার কাজল জানালেন, ‘‘বগটুইয়ের প্রতি তাঁর নজর আগেও যেমন ছিল তেমনই থাকবে।’’
কাজলের কথায়, ‘‘বগটুইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উন্নয়ন সেই উন্নয়ন হয়েছে। বগটুইয়ের মানুষজন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে শামিল, তার প্রমাণ গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিয়েই দিয়েছেন।’’ কাজলের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রমাণ করে দিয়েছে বগটুইয়ে বিরোধীদের কোনও সংগঠন নেই। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধীরা বগটুইয়ে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছে। বিরোধীদের ওখানে আছেই বা কী? বগটুইয়ের প্রতি নজর সব সময়ের জন্য থাকবে।’’
এ দিন নিজের খাসতালুক নানুরে সংবর্ধনা সভা থেকে নবনির্বাচিত প্রধান-সহ ত্রিস্তরের পদাধিকারীদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কাজল। কাজল নবনির্বাচিত প্রধানদের উদ্দেশ্যে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে বলেন, ‘‘মনে রাখবেন প্রাথমিক ভাবে আপনাদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ মাস। ভাল কাজ করলে ফের পদে থাকার সুযোগ পাবেন। না হলে পদ, এমনকি দল থেকেও সরে যেতে হবে।’’
এ দিন তাঁকে সংবর্ধনা জানায় নানুর পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণগোপাল মাঝি, সহ সভাপতি অশোক ঘোষ, বিডিও শৌভিক ঘোষাল, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ অন্য পদাধিকারী এবং সদস্যরা।