Jhalda Municipality

আবাসের টাকা ছাড়ল ঝালদা পুরসভা

কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিপ্লব কয়ালের দাবি, মাঝে কিস্তির টাকা থমকে থাকায় প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়েছিলেন। এবার সেই সমস্যা মিটল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:১৭
Share:

ঝালদা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

দীর্ঘদিন থমকে থাকার পরে ফের ‘হাউজ ফর অল’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য কিস্তির টাকা ছাড়ার কাজ শুরু করল ঝালদা পুরসভা। পুরসভা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই কিস্তির টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। নব নির্বাচিত পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বলেন, “শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি টাকা ছাড়া হয়েছে। এই কাজ এখন নিয়মিত চলবে।”

Advertisement

সোমবার পুরপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুরেশ। তারপর বুধবার থেকেই ধাপে ধাপে পুরকর্মীদের বকেয়া বেতন ও পেনশনের টাকা মেটানো শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে আবাস প্রকল্পের টাকা ছাড়ার কাজ। সেই খবরে হাসি ফুটেছে প্রাপকদের মুখে। হাটতলার বাসিন্দা অঞ্জনা কান্দু (সাউ ) বলেন, “স্বামী অনেকদিন ধরে অসুস্থ। দুটি কিস্তিতে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা পেয়ে ঘরের কাজ শুরু করেছিলাম। পরে আর টাকা না মেলায় কাজও থমকে রয়েছে। এখন বাকি কিস্তির টাকা পেলে বাড়ির কাজটা সম্পূর্ণ হবে।”

কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিপ্লব কয়ালের দাবি, মাঝে কিস্তির টাকা থমকে থাকায় প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়েছিলেন। এবার সেই সমস্যা মিটল। যদিও এতে সুরেশকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ অপসারিত পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

তিনি বলেন, “আমরাই তদারকি করে ওই প্রকল্পের তহবিল এনেছিলাম। পুজোর আগে এক কিস্তির টাকা ছাড়াও হয়েছিল। তারপরেই ঝামেলা শুরু হওয়াতে সব থমকে গেল।

পুরসভা সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য পাঁচটি কিস্তিতে মোট তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারমধ্যে ২৫ হাজার টাকা জমা করতে হয় উপভোক্তাকে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, উপভোক্তাকে আগে সেই টাকা জমা দিতে হবে। তারপর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার সরেজমিনে ঘর তৈরির জায়গা পরিদর্শন করবেন। বাড়ি তৈরির টাকা মিলবে কি না, তা নির্ভর করবে ইঞ্জিনিয়ারের দেওয়া রিপোর্টের উপর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement