বোলপুরে চালু ইন্ডোর পরিষেবাও

বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ভবনে শুরু হয়ে গেল ইন্ডোর পরিষেবা।শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বোলপুর হাসপাতালের পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের (‌মেডিসিন ও সার্জারি) রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৭
Share:

স্থানান্তর: নতুন ভবনে রোগীদের ঠাঁই। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ভবনে শুরু হয়ে গেল ইন্ডোর পরিষেবা।

Advertisement

শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বোলপুর হাসপাতালের পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের (‌মেডিসিন ও সার্জারি) রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু প্রসূতি, শিশুবিভাগ এবং এসএনসিইউ ইউনিটের ইন্ডোর পুরনো ভবনেই রাখা হয়েছে। একই ভাবে দুই ভবনে চলবে আউটডোর পরিষেবাও। এ দিন সকালে উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেলার সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, এসডিও (‌বোলপুর) শম্পা হাজরা, এসডিপিও (‌বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষ প্রমুখ। দুপুরের দিকে নতুন ভবন পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী এবং বোলপুরের বিডিও শমীক পাণিগ্রাহীও।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বোলপুরেও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হলেও সেখানে এত দিন শুধু আউটডোর পরিষেবা মিলত। এ বার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল লাগোয়া এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নতুন ভবনে মিলবে ইন্ডোর পরিষেবাও। এ দিন সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মহকুমা হাসপাতালের পুরনো ভবন থেকে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের মেডিসিন ও সার্জারির রোগী বিভাগগুলিকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়। একই ভাবে আগের মতো এই নতুন ভবনে মিলবে এই বিভাগগুলির আউটডোর পরিষেবাও। শুধুমাত্র প্রসূতি, শিশু ও এসএনসিইউ ইউনিটগুলি পুরনো ভবনেই রাখা হয়েছে। এই বিভাগ গুলির আউটডোর পরিষেবা হাসপাতালের পুরনো ভবন থেকেই মিলবে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিকাশবাবু বলেন, “রোগীরা আরও ভাল পরিষেবা পাবেন। হাসপাতালের পরিত্যক্ত জায়গাগুলিতে একটি সুন্দর বাগান তৈরি করব, যাতে হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত থাকে।”

Advertisement

দুপুরে পরিদর্শনের পরে জেলাশাসকের কাছে হাসপাতালের পিছনে একটি পুকুর খনন করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অমিত মজুমদার। এ ছাড়াও রোগীদের রাত্রিবাসের জন্য একটি জায়গা তৈরিরও প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। অমিতবাবু জানান, রোগীদের কথা মাথায় রেখে তাঁরা জেলাশাসক এবং জেলা সভাধিপতির কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। জেলাশাসক বলেন, “লিখিত প্রস্তাব দিতে বলেছি। রোগীদের সুবিধার জন্য টাকা বরাদ্দ করে এগুলি করে দেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement