জয়ী দলে পাপিয়া (নীচের সারিতে বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)।
আমেরিকার মিশিগান প্রদেশের ডেট্রয়েট শহরে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক ইউনিফায়েড ফুটবল প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পদক পেল ভারতের মহিলা ফুটবল দল। সেই খুশি ছুঁয়ে গেল বীরভূমকেও। কারণ ওই ভারতীয় ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সিউড়ি ১ ব্লকের কাঁটাবুনি গ্রামের তরুণী পাপিয়া মুর্মু। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘মহিলা ফুটবল দলের ব্রোঞ্জ জয় খুব ভাল খবর। যেটুকু জেনেছি পাপিয়া দেশের হয়ে ভাল খেলেছেন। ফিরলে তাঁকে সংবর্ধিত করা হবে।’’
জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশন সূত্রে খবর, ৩০ জুলাই থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত আমেরিকার মিশিগানে ইউনিফায়েড ফুটবলের আসর বসে ছিল। প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও গুয়েতেমালা, কোস্টারিকা, মেক্সিকো, নামিবিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, আমেরিকা-সহ অন্তত ২০টি দেশ অংশ নেয়। সেখানে সোনা জিতেছে নামিবিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী পেয়েছে রুপো। তৃতীয় স্থানের জন্য নির্ণায়ক খেলাটি ছিল শুক্রবার । শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পায় ভারত। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় সিউড়ির পাপিয়া জানান, পদক আনতে পেরে খুশি গোটা ফুটবল দল।
শিক্ষার অধিকার আইন বলছে, আলাদা স্কুলে নয়, স্বাভাবিক পড়ুয়াদের সঙ্গে একত্রে পড়াশুনা করবে ও শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে উপযুক্ত প্রশিক্ষণে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াটিকে স্বাভাবিক পড়ুয়াদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া হবে। এই ভাবনা থেকেই ইউনিফায়েড স্পোর্টসের ভাবনা। ২০১৩ সাল থেকে এই ভাবনার উপরে দাঁড়িয়ে স্পেশ্যাল অলিম্পিকে নানা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে ফুটবলও। মিশিগান প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ইউনিফায়েড ২২’। এ রাজ্য থেকে পাপিয়া-সহ তিন সদস্য ওই জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে রয়েছেন। ২০ জুলাই তাঁরা রওনা হয়েছিলেন।
জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশনের কো-অর্ডিনেটর শুকদেব চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘খুব গর্বিত লাগছে। জেনেছি রবিবার গভীর রাতেই দেশের উদ্দেশ্য রওনা দেবে ফুটবল দল। সোমবার দেশে ফিরেবে। পাপিয়া সম্ভবত মঙ্গলবার ফিরবে।’’