প্রতীকী ছবি।
উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ও পরিকাঠামো থাকলেও বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এত দিন চালু হয়নি মাইক্রোসার্জারি। প্রায় বছর চারেক ধরে পড়েছিল অস্ত্রোপচারের উন্নতমানের যন্ত্রপাতি। কয়েকমাস আগে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ‘অপারেশন থিয়েটার’ চালু হয়। তার পরেই সাধারণ অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এ বার চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পরে, এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সংস্থান করে শুক্রবার সকালে শুরু হল মাইক্রোসার্জারি।
বুধবার অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিষ্ণুপুরের খড়িকাশুলির দিপালি দণ্ডপাট। গল ব্লাডারের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন গোয়ালতোড়ের শশাবেদিয়া গ্রামের খুকুমণি কুণ্ডু। শুক্রবার তাঁদের মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয়। বিনামূল্যে উন্নতমানের অস্ত্রোপচারের সুবিধা পেয়ে খুশি রোগীর পরিজনেরা। এক রোগিণীর পরিবারের তরফে গণেশ দণ্ডপাট বলেন, “নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ নেই। সেই অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার বিষ্ণুপুর হাসপাতালে হয়ে যাবে ভাবিনি।’’
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎকান্তি পাল বলেন, “এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতির সুবিধা থাকলেও ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব ছিল। প্রশিক্ষণ হওয়ায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী জোগাড় করে মাইক্রোসার্জারি শুরু করা হল। এর পর থেকে রোগীরা এখানে ল্যাপারোস্কোপির সব সুবিধাই পাবেন।” শল্য চিকিৎসক শৈবাল বেরা বলেন, “ল্যাপারোস্কোপির সুবিধা অনেক। রোগীর কষ্ট অনেকটাই কম। শরীরের মধ্যে দু’-তিনটে ফুটো করেই তার মধ্যে দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। আপাতত ‘বেসিক ল্যাপারোস্কোপি’ শুরু হল।”