রামপুরহাটে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা শুরু

এমনিতেই এই শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঢিলেঢালা। তার উপর জাতীয় সড়কের ধারে মহানালার উপরে জবরদখলের কারণে তা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কারও করা যায় না। যার নিট ফল— অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাতেই হাঁটুর উপর জল জমে যায়। দুর্ভোগের সীমানা থাকে না পুরবাসীর। এ বার রামপুরহাটে নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরাতে এগিয়ে এলেন মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৫ ০১:০৭
Share:

ভেঙে ফেলা হচ্ছে নিকাশি নালার উপরে থাকা নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।

এমনিতেই এই শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঢিলেঢালা। তার উপর জাতীয় সড়কের ধারে মহানালার উপরে জবরদখলের কারণে তা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কারও করা যায় না। যার নিট ফল— অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাতেই হাঁটুর উপর জল জমে যায়। দুর্ভোগের সীমানা থাকে না পুরবাসীর। এ বার রামপুরহাটে নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরাতে এগিয়ে এলেন মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস। রবিবার তাঁর উপস্থিতিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে ভাঁড়শালাপাড়া থেকে সানঘাটাপাড়া সেতু পর্যন্ত মহানালার উপর অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করল প্রশাসন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায়-সহ পুরসভার কিছু কর্মীও।

Advertisement

তিনি এ দিন কতকটা ক্ষোভের সুরেই বলেন, “এই শহরে নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটির জন্য প্রধান প্রধান রাস্তায় নিকাশি নালার উপরে অবৈধ নির্মাণ অনেকাংশেই দায়ী। পুরসভা খালি রাস্তা নির্মাণ-সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত। নালাগুলি থেকে মজে যাওয়া জঞ্জাল দূর করার জন্য তেমন কোনও উদ্যোগ পুরসভার তরফ থেকে খুব একটা দেখা যায় না।’’ এসডিও-র পরামর্শ, শহরের নিকাশি নালার উপর অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে সপ্তাহে অন্তত এক দিন সেখানকার জঞ্জাল পরিষ্কার করা দরকার।

স্থানীয় সূত্রের খবর, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য এর আগেও ব্যাঙ্ক রোডের ধারে নিকাশি নালার উপর থেকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এসডিও। তিন দিন আগে জাতীয় সড়কের দু’ধারে নিকাশি নালার উপর বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে বলে পুরসভার মাধ্যমে মাইকে প্রচারও হয়েছিল। শনিবার পুরসভার তরফে লোটাস প্রেস সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়েও বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় কাজ এগোয়নি। তার পরে এ দিন এসডিও নিজে ওই এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। বগটুই মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

এ দিকে, পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লালমোহন মণ্ডল, বীরু সর্দার, সুদীপ মণ্ডলদের অভিযোগ, নিকাশি নালার ত্রুটির জন্যই এলাকায় জল উঠে আসে। সামান্য বৃষ্টিতেই টাইগার মিলের গলিতে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। অনেকেই আবার এ দিন মহকুমাশাসকের কাছে দাবি করেন, কেবলমাত্র মাড়গ্রাম মোড় পর্যন্ত নয়, ভাঙলে সমস্ত অবৈধ নির্মাণই ভাঙতে হবে। এর পরেই এসডিও ভাঁড়শালা মোড় থেকে ভাঙার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। জাতীয় সড়কের ধারে বিএসএনএল-এর অফিসের সামনে নিকাশি নালার উপর বেআইনি দোকানের একাংশ ভাঙা হয়। ভাঙা হয় ব্রাহ্মণীগ্রাম মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের জায়গার উপর জবরদখল করে গড়ে তোলা গাড়ির গ্যারাজও। পরে এসডিও জানান, বর্ষা পুরোদমে শুরুর আগেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় দফতর এবং পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করে শহরের নিকাশি ব্যবস্থাকে জোরদার করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement