সুস্বাদু: খাবারে কামড় । মঙ্গলবার পৌষমেলায়। নিজস্ব চিত্র
কথায় আছে, ‘‘বারো মাসে, তেরো পার্বণ’’। পার্বণ যাই হোক না কেন, সঙ্গে জড়িয়ে থাকে খাওয়াদাওয়া। সেটা পৌষপার্বণ হলে খাওয়ার হিড়িক বাড়ে কয়েকগুণ।
হইহই করে চলছে পৌষমেলা। তার সঙ্গে জুড়েছে খাওয়াদাওয়া। মেলা ঢুকলেই চারদিক গন্ধে ম ম করছে। ‘ঘ্রানেন অর্ধভোজনং’ এই কথা যদি ঠিক হয়ে থাকে, তবে কেউ সে সব খাবার চেখে দেখুক বা না দেখুক— অর্ধেক পেট এমন ভাবেই ভরছে মেলার পর্যটকদের।
মধ্যাহ্ন আর নৈশভোজ বাদ দিলে পড়ে থাকে টুকিটাকি খাবার। তেমন খাবারের অভাব নেই পৌষমেলায়। যদিও দাম চলতি বাজারের তুলনায় একটু বেশি। মেলায় ঘুরে দেখা গেল, বছরের অন্য সময় ১০ টাকায় বিক্রি হওয়া পপকর্ন বিক্রি হচ্ছে কোথাও ১৫, কোথাও ২০ টাকায়। এ রকম প্রতিটি খাবারেই ৫, ১০ বা ২০ টাকা করে দাম বেশি রয়েছে।
মেলায় মিলছে পিঠেপুলি, নানান রকম মিষ্টি, মথুরার কেক। অন্য দিকে লোটে, পমফ্রেট ভাজা থেকে শুরু করে পিৎজাও। এ দেশের হোক বা বাইরের— কোনও খাবারই বাদ নেই। শীত পড়লেও রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয়, আখের রস। ফুচকা, ভেলপুরি, পেয়ারা মাখা তো রয়েইছে।
দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। ভিড়ের চাপে হিমসিম খাবার দোকানের লোকেদের। বিশেষ করে রাতের দিকে। কোনও কোনও স্টলে বহাল রয়েছেন অস্থায়ী কর্মীও।
পরিবেশ আদালতের এত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেলার কয়েকটি স্টলে দেখা মিলেছে উনুনের। তবে তা অন্য বারের তুলনায় কম। মেলা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পরের বছর উনুন হয়তো একেবারেই থাকবে না মেলায়।
বোলপুরের বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁতেও বেড়েছে খাবারের দাম। হোটেল মালিকরা অবশ্য এ জন্য বাজারে আনাজ, মাছ-মাংসের দাম বেড়ে যাওয়াকেই দায়ী করছেন। পর্যটক টানতে কোনও কোনও রেস্তোরাঁয় দেওয়া হচ্ছে বিশেষ উপহার। ৫০০ টাকার উপর বিল হলেই বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল। স্বাদে-গন্ধে এ ভাবেই জমে উঠেছে শান্তিনিকেতনের এ বারের পৌষমেলা।