পুরসভায় সামিমদাদ খান। নিজস্ব িচত্র
টানা ১৪ বছর পর পুরুলিয়া পুরসভা এলাকায় ‘হোল্ডিং’ কর-কাঠামোর পরিবর্তন হতে চলেছে। এর আগে ২০০৩-’০৪ আর্থিক বছরে শেষবারের মতো বদলেছিল কর-কাঠামো।
তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান সামিমদাদ খান জানিয়েছেন, প্রায় ২৪ হাজার করের ফাইলে সই করতে তিনি কলকাতায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ডের কার্যালয়ে যাবেন।
চলতি আর্থিক বছরের প্রথমে নয়া কর-কাঠামো নির্ধারণ করতে যৌথ ভাবে সমীক্ষার কাজ শুরু করে ভ্যালুয়েশন বোর্ড ও পুরসভা। এর পরে নির্ধারিত হয় নয়া কর-কাঠামো। প্রতিটি হোল্ডিংয়ের ধার্য করের তালিকা পুরসভায় টাঙানো হয়েছিল।
পরিবর্তিত কর-কাঠামো নিয়ে আপত্তি করেছিলেন প্রায় ১৫ হাজার হোল্ডিংয়ের মালিক। তাঁদের আবেদনের শুনানি হয়েছে। শহরে হোল্ডিংয়ের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। প্রথম পর্বে ২৪ হাজার হোল্ডিংয়ের কর সংক্রান্ত ফাইল খতিয়ে দেখা হয়েছিল। ফাইলগুলি ওয়েস্টবেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতি ৫ বছর অন্তর নতুন কর-কাঠামো নির্ধারিত হওয়ার কথা। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, ২০০৩-’০৪ আর্থিক বছরের পর তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই সময়কালে হোল্ডিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ফাইলের পাহাড় জমেছিল পুরসভায়। নিয়ম অনুযায়ী, ভ্যালুয়েশন বোর্ডের কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিটি করের ফাইলে সই করার কথা পুরপ্রধানের।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরপ্রধান যাতে পুরুলিয়ায় বসেই কিছু ফাইলে সই করতে পারেন, তার জন্য ভ্যালুয়েশন বোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হবে।
সময়ের প্রবাহে শহরের আয়তন বেড়েছে অনেকটা। গড়ে উঠেছে নতুন আবাসন, হোটেল, লজ, রেস্তরাঁ এবং শপিং মল। ২০০৩-’০৪ সালে শহরে হোল্ডিংয়ের সংখ্যা ছিল ১২-১৩ হাজার। এই সময়কালে পরিষেবা খরচ বেড়েছে। পুরসভার এক হাজারের বেশি অস্থায়ী কর্মীর বেতনের বোঝাও রয়েছে পুরসভার ঘাড়ে।
পুরসভার শাসকদলের এক কাউন্সিলর বলেন, ‘‘মাঝে মাঝেই উন্নয়ন তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে অবস্থা সামাল দিতে হয়।’’ পুরপ্রধান জানান, পুরসভা চালানোর খরচও বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এই অবস্থায় আয় বাড়ানো ছাড়া পুরসভার সামনে কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।