বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিগত দিনে ছাত্র আন্দোলনে জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর নভেম্বরে তেমনই উত্তাল ছাত্র-বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে ক্যাম্পাস। সেই ঘটনা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের করা একটি পুরনো মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্ট সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে বোলপুর, শান্তিনিকেতন থানা এবং জেলা পুলিশ সুপারকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রশাসনিক অফিস, বিশেষ করে উপাচার্যের কার্যালয় এবং বাসভবন থেকে ৫০ মিটার দূরে আন্দোলন করা যাবে বলেও আদালতের নির্দেশ।
গত বছর নভেম্বরে ছাত্রছাত্রীদের কিছু দাবিদাওয়া ঘিরে উত্তাল হয় ক্যাম্পাস।পড়ুয়াদের হাতে ঘেরাও হন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রায় ১০ ঘণ্টা পরে, গভীর রাতে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সাহায্যে ঘেরাও মুক্ত করা হয় উপাচার্যকে। তাঁর বাংলোর কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনের জেরে উপাচার্য গৃহবন্দি হয়ে পড়েন।
পরে অবস্থান উঠলেও উপাচার্য গত বছর হাই কোর্টে মামলা করেন বলে সূত্রের খবর। তাতে ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’, তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা সহ একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন। সেই মামলাতেই হাই কোর্ট ওই রায় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের জেরে পড়াশোনার পরিবেশ যাতে কোনও ভাবেই নষ্ট না হয়, উপাচার্যকে যাতে হেনস্থা হতে না হয়, তার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।” শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের দাবি, “কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং উপাচার্যের বাংলো থেকে ৫০ মিটার সরে গিয়ে আন্দোলনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়া হবে।”