গানে বার্তা। নিজস্ব চিত্র।
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। লেগেই থাকছে পারিবারিক বিবাদ। আত্মসম্মান বিসর্জিত হওয়া থেকে রোগাক্রান্ত হওয়া। শিক্ষা, সংস্কৃতি-সহ সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া— মদের নেশা কীভাবে প্রভাব ফেলেছে আদিবাসী সমাজে, তা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারে এগিয়ে এল আদিবাসী বুদ্ধিজীবীদের মঞ্চ ‘পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী সমাজ’।
রবিবার বিকালে এই সচেতনতা প্রচার চলল নগরী পঞ্চায়েতের আদিবাসী গ্রাম কোঁড়া পাড়া, আমগাছিতে। সর্বনাশা মদের নেশার বিরুদ্ধে ঠিক কী করণীয়, আদিবাসী গান, কথায়, আলোচনায় বোঝালেন শিক্ষক শিবু সরেন, অধ্যাপক হারাধন সরেন, শিক্ষক কালীপদ হেমব্রম, সঙ্গীতশিল্পী শোবান টুটু, সাংস্কৃতিক কর্মী লক্ষণ হাঁসদারা। সহযোগিতায় ছিল সিউড়ি থানার পুলিশ।
কেন সিউড়ির নগরী পঞ্চায়েতে এমন প্রচার? সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, সচেতনতার অভাব। যক্ষ্মা রোগ এবং সর্বোপরি মদের নেশা। এই সব ক’টির মিলিত অত্যাচারে ভুগছে সিউড়ি ১ ব্লকের নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের যে আদিবাসী গ্রামগুলি, কোঁড়া পাড়া এবং আমগাছি গ্রাম তার অন্যতম। কোথায় সমস্যা সেটা বুঝতে এবং নেশা কীভাবে আদিবাসী সমাজে সর্বানাশ ডেকে আনছে, বোঝাতেই তাঁদের এখানে আসা। শিবু সরেনরা বলছেন, ‘‘একটা ইতিবাচক সড়া মিলেছে। তবে, কেন নেশা বন্ধ করতে পারা যাচ্ছে না, সেটাও বলছেন আদিবাসী মহিলারা। মহিলাদের দাবি, তাঁদের আপত্তি থাকলেও কোনও পুরুষ নেশা বন্ধে এগিয়ে আসেন না। আমরা বলেছি, নারীরা রুখে দাঁড়ালে যে কোনও অশুভ শক্তি হেরে যায়। ওঁরা কথা দিয়েছেন। রুখে দাঁড়াবেন।’’ বুদ্ধিজীবী মঞ্চের প্রতিনিধিরা আরও জানাচ্ছেন, এলাকার মহিলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে নগরী পঞ্চায়েতের অন্য গ্রামগুলিতেও এমন প্রচার অভিযান তাঁরা করবেন।