নিজের বাড়ির সামনে লটারি বিজেতা জীবন দাস। নিজস্ব চিত্র
অভাবের সংসার। পাকা বাড়ি নেই। লটারিতে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতে তাই পাকা বাড়ির স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন মাছ বিক্রেতা জীবন দাস। বোলপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জীবন। স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়েকে নিয়ে এই মাছ বিক্রেতার সংসার। সব মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বড় ছেলে মুন্না ট্রেনে হকারির কাজ করেন, মেজো ছেলে সন্দীপ মোটরভ্যান চালান, ছোট ছেলে সঞ্জীব রংমিস্ত্রি। মাথায় মাছের ঝুড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে জীবন মাছ বিক্রি করেন। তাঁর ও ছেলেদের উপার্জনে কোনও মতে দিন চলে যাচ্ছিল।
তবে, ভাগ্য ফেরার আশায় প্রায় প্রতিদিনই লটারি কাটতেন জীবন। কিন্তু, কোনও দিনই সেই ভাবে লটারিতে লক্ষ্মী লাভ হয়নি। শনিবারও চৌরাস্তার একটি লটারি কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন জীবন। সোমবার সকালের খেলায় লটারিতে এক কোটির পুরস্কার লাগতেই আনন্দে দিশাহারা হয়ে পড়েন তিনি। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, তিনি এত টাকার পুরস্কার জিতেছেন। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তাতেই কিছুটা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন জীবন। তখন পথ চলতি মানুষজন তাঁর মুখে চোখে জল দিয়ে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন। জীবন বলেন, “সেই ১৮-১৯ বছর ধরে টিকিট কাটছি। কোনও দিন ভাবিনি, এত বড় অঙ্কে টাকা জিতব। এক কোটি টাকা জিততেই দ্রুত বাড়িফিরছিলাম। এত বড় পুরস্কার দেখে কিছুটা অসুস্থ বোধ করি।’’
তবে, লটারিতে কোটি টাকা জেতার পরেই বোলপুর থানায় গিয়ে একটা ডায়েরি করে এসেছেন জীবন। যাতে টিকিট সুরক্ষিত থাকে। জীবনের কথায়, ‘‘লটারির টাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করব। সংসার একটু সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে চলুক। এটুকুই চাই।’’