বিজেপি নেতার বাগানে আগুন হিড়বাঁধে

বিজেপি নেতার বাগানে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল। পুড়ে নষ্ট হল প্রায় বিঘে আটেক জমির হাজার দুয়েক চারা গাছ। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানার গোপালপুর অঞ্চলের ধানারাঙি গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিড়বাঁধ শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০২
Share:

আগুন নেভানোর পড়ে বাগান জুড়ে পড়ে আছে ছাই। —নিজস্ব চিত্র

বিজেপি নেতার বাগানে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল। পুড়ে নষ্ট হল প্রায় বিঘে আটেক জমির হাজার দুয়েক চারা গাছ। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানার গোপালপুর অঞ্চলের ধানারাঙি গ্রামের ঘটনা। বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়।

Advertisement

এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক আক্রোশ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাগানটির মালিক বিজেপির গোপালপুর অঞ্চল সভাপতি মথুর মাহাতো এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বুধবার রাতে পুলিশের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানারাঙি গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিঘা দশেক পতিত জমি ছিল মথুরবাবুদের। সেই জমিতে বনসৃজন করেছিলেন মথুরবাবু এবং তাঁর কাকা ভূতনাথ মাহাতো-সহ পরিবারের ৬ জন সদস্য। গত আগস্ট মাসে ইউক্যালিপটাস, সোনাঝুরি, পটাস, নিম, সুবাবুল প্রভৃতি গাছের প্রায় হাজার তিনেক চারা পোঁতা হয়েছিল। চারাগুলির বর্তমানে উচ্চতায় চার থেকে ছ’ ফুট।

Advertisement

মথুরবাবু জানান, নিয়মিত বাগানটির পরিচর্যা করতেন তাঁরা। বুধবার দুপুরে বাগানে গিয়ে দেখতে পান, গাছের গোড়ায় আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পুকুর থেকে জল তুলে আগুন নেভান। তিনি বলেন, “আগুনে অধিকাংশ গাছের গোড়া আর পাতা ঝলসে গিয়েছে। প্রায় দু’হাজারের বেশি চারা নষ্ট হতে বসেছে। প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের।’’

বাগানে পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মথুরবাবুর। তিনি বলেন, “আমি বিজেপি করি। সে জন্য আমায় জব্দ করতেই এই কাজ করা হয়েছে।’’ তবে নির্দিষ্ট কোনও দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি তিনি।

মথুরবাবুর কাকা ভূতনাথ মাহাতোর আক্ষেপ, “গাছ লাগিয়ে কিছু লাভের মুখ দেখব ভেবেছিলাম। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল দুষ্কৃতীরা।’’ তাঁর দাবি, স্থানীয় কারও সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। ফলে কে বা কারা এই কাজ করল তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা।

বিজেপির হিড়বাঁধ ব্লক সভাপতি গোপাল হেমব্রমের দাবি, ভোটে দলের প্রার্থীর হয়ে কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছিলেন মথুরবাবু। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে বাগানে আগুন দেওয়া হয়েছে তার পিছনে রাজনীতি আছে বলেই মনে হয়।’’

এ দিন হিড়বাঁধ থানার ওসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক আক্রোশ রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement