নির্মল বাঙলা মিশন প্রকল্পের আওতায় নির্মল বীরভূম গড়ার লক্ষ্যে এ বার জেলার আরও ৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল পঞ্চায়েত ঘোষণা করা হবে। চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে হবে। সম্প্রতি সেই লক্ষ্যেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি মহকুমা ও ব্লক স্তরের আধিকারিক ও কর্মীরাও কাজের অগ্রগতি কতটা সেটা হাটে মাঠে ঘুরে দেখলেন। জেলার ১৯টি ব্লকেই চিহ্নিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে মহকুমাশাসক থেকে বিডিও, পঞ্চায়েত কর্মীরা গ্রামে গ্রামে শৌচালয় নির্মাণের জন্য উপভোক্তাদের মানসিক ধাক্কা দেওয়ার কাজ শুরু করলেন।
নির্মল বাংলা মিশনের জেলা নোডাল অফিসার কৌশিক সিংহ বলেন, “জেলার ৫৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ইতিমধ্যে নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বারে আরও ৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল পঞ্চায়েত ঘোষণা করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় ধার্য করা হয়েছে।’’ কৌশিকবাবু জানান, লক্ষ্য পূরণের জন্য গত বছরের ৮ ডিসেম্বর জেলাস্তরে মহকুমাশাসক, বিডিও, নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পে নিযুক্ত আধিকারিক থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হয়।
জানা গেল, সেই বৈঠকে জন উদ্যোগে সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্প বিষয়ে বিশেষ কয়েকটি দিক নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়। শৌচালয় নির্মাণের জন্য সেই ওয়ার্কশপের প্রাথমিক ধাপ ছিল এলাকাবাসীদের মধ্যে মানসিক ধাক্কা দেওয়া। অর্থাৎ মানসিক দিক থেকে শৌচালয় নির্মাণের জন্য উপভোক্তাদের প্রস্তুত করা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সেই বৈঠক হওয়ার পরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিডিও, পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীরা ইতিমধ্যে উপভোক্তাদের মানসিক ধাক্কা দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সেই কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে মঙ্গলবার প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মীরা সেই কাজ জেলার ১৯টি ব্লকে খতিয়ে দেখেন। এবং এর জন্য প্রশাসনিক স্তর থেকে শৌচালয় নির্মাণের জন্য উপভোক্তাদের মানসিক ভাবে ধাক্কা দেওয়ার কাজও করা হয়।
কৌশিক বলেন, ‘‘কর্মসূচির রিপোর্ট অনুযায়ী আশা করা যায় ৩১ মার্চের মধ্যে ৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল পঞ্চায়েত ঘোষণা করার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তা পূর্ণতা পাবে।’’