পথ দুর্ঘটনায় এক চাষির মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে ময়ূরেশ্বরে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের নওয়াপাড়া হাসপাতাল মোড়ের কাছে কোটাসুর-রামনগর সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃত প্রভাত মণ্ডলের (৪২) বাড়ি স্থানীয় হাড়িফেলা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে স্থানীয় রামঘাটি গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সাইকেলে হাড়িফেলা ফিরছিলেন প্রভাতবাবু। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুল্যান্স তাঁকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুতর জখম প্রভাতবাবুকে। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রবিবার রাত পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ হয়নি।
কিন্তু ওই মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় উলকুণ্ডা পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রিত ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিতে চেপে ষাটপলশায় লক্ষ্মীপুজোর মেলা দেখে ফিরছিলেন তৃণমূলের কয়েকজন নেতা। চালক মদ্যপ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রভাতবাবুকে ধাক্কা মারে। তার পরেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃতের পরিবারের সঙ্গে আর্থিক বোঝাপড়া করে নেওয়া হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।
যদিও তা মানতে চাননি ওই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ২ ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র। তাঁর দাবি, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স জরুরি পরিষেবার জন্য ষাটপলশা মেলায় রাখা হয়েছিল। অন্য কোনও গাড়ি প্রভাতবাবুকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। খবর পাওয়ার পরে পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স তাকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। আর্থিক বোঝাপড়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন।’’ তাঁর সুরেই কথা বলেছে মৃতের ভাই বিকাশ মণ্ডলও। আর্থিক বোঝাপড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরে আমরা সিউড়ি হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই দাদার মৃত্যু হয়। তাই কোন গাড়িতে দাদাকে ধাক্কা মেরেছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না।’’