জমিজট কিছুটা কাটতেই দ্বিতীয় ছাইপুকুর খননের কাজ শুরু করলেন বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। শনিবার স্থানীয় কচুজোড় মৌজায় ওই পুকুর তৈরির কাজ শুরু হয়। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মহীতোষ মাজি বলেন, “ছাইপুকুরের জন্য চিহ্নিত ২১৫ একর জমির অল্প কিছু জায়গা পাট্টা দেওয়া ছিল। প্রশাসন সম্প্রতি সেই পাট্টা খারিজ করেছে। তাঁদের কয়েক জন এখনও অধিগ্রহণের চেক নেননি। কয়েক জন হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সেই ২.৮৭ একর জমিটুকু বাদ দিয়েই কাজ শুরু করা হয়েছে। শেষ হতে দু’বছর লাগবে।”
২০০১ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিনটি ইউনিট চালু হয়। ওই ইউনিটগুলির ছাই সিউড়ি ১ ব্লকের পানুরিয়া গ্রামের কাছে প্রথম ছাইপুকুরে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু পুকুর উপচে সেই ছাই আশপাশের এলাকায় উড়ে পরিবেশ দূষণ করছে বলে অভিযোগ। ছাই মিশ্রিত জল গিয়ে পড়ছে পাশের চন্দ্রভাগা নদীতে। ২০০৯ সালে আরও নতুন দু’টি ইউনিটের ছাই ওই পুকুরে ফেলা শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।
গত বছর অক্টোবর মাসে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের মামলার প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে দূষণ রোধে উদ্যোগী হয় বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাটি। পাশাপাশি প্রশাসনও জমিজট কাটাতে উদ্যোগী হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও ওই জমিতে বসবাসকারী ২৬ জন পাট্টাদার তাঁদের ক্ষতপূরণের চেক নেননি। তাঁদের মধ্যেই সাত জন ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সেই জীতেন কিস্কু, তনু কিস্কু, মিলন দলুই বলেন, “ছাইপুকুরের বিপক্ষে আমরা নই। কিন্তু জমি গেলে আমরা খাব কি? থাকব কোথায়?”