বুধবার রাতে ঘুট ঘুটে অন্ধকার ছিল বনদফতরের যমুনা বনাঞ্চলের অফিসে। চলছে টর্চ জ্বালিয়ে কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় কাটা হল সরকারি অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ। পরে অবশ্য সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কংসাবতী (দক্ষিণ) বন বিভাগের বান্দোয়ান যমুনা বনাঞ্চলের অফিসের ঘটনা।
ওই বন বিভাগের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খবর পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজারকে দ্রুত সংযোগ ফেরাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যা বিল বকেয়া রয়েছে, দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে আচমকাই ওই অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। প্রথমে বনকর্মীরা ভেবেছিলেন, সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ে তাঁদের। সন্ধ্যার পরে চারপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন, অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিভিন্ন করা হয়েছে।
এ ভাবে না জানিয়ে পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করায় ক্ষোভ ছড়ায় বনকর্মীদের মধ্যে। কর্মীদের একাংশ জানান, অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে বিভিন্ন কাজ চলে। হাতি উপদ্রুত এলাকা হওয়ায় আগে থেকে টর্চ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ‘চার্জ’ দিতে হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ওই দিন বিকেল থেকে টর্চ জ্বালিয়েই অফিসের কাজকর্ম করতে হয়েছে বলে অভিযোগ। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “অনেক দিন আগে একটি নোটিস এসেছিল। সেই সময়ে দফতরের সঙ্গে বিল মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তারাও জানিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা না কাটার। হঠাৎ করে সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। আগে থেকে কিছু জানানোও হয়নি।”
পুরুলিয়া বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওন্যাল ম্যানেজার রজত টিকাদার বলেন, “ঘটনা নিয়ে ডিএফও-র সঙ্গে কথা হয়েছে। টাকা কিছু বাকি থাকায় সংযোগ কাটা হয়েছিল। সমস্যা মিটেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো হয়েছে।’’