উঁকি: দরজায় তালা। শিকেয় পড়াশোনাও। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের প্রকল্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ কমলেও থেমে যায়নি। রবিবার পুরুলিয়া ২ ব্লকের গোলামারা পঞ্চায়েতের বাঘড়া গ্রামে সিনিয়র হাই মাদ্রাসা ইসলাহুল মোমেনিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দিন সকালে ক্লাস শুরুর আগেই এলাকার মহিলারা গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন।
এ দিন সকালে সবে শিক্ষক ও পড়ুয়ারা মাদ্রাসায় এসেছেন। তখনই এলাকার বেশ কিছু মহিলা এসে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের ঘরে, শিক্ষকদের বসার ঘরে, মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে এবং বাইরে মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। আচমকা এ ভাবে তালা পড়ে যাওয়ায় ভিতরে অসহায় হয়ে বসে থাকেন শিক্ষকেরা। বইয়ের ব্যাগ, জলের বোতল বারান্দায় বা ক্লাসঘরে রেখে মাদ্রাসা চত্বরে খেলে বেড়ায় পড়ুয়ারা। চাল-ডাল, আলু, ডিম প্রভৃতি রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে বসে থাকেন রাঁধুনিরা।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে মহিলাদের বুঝিয়ে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মুক্ত করে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল লতিফ আনসারি বলেন, ওই মহিলারা ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ চাইছিলেন। কিন্তু কাজ দেওয়ার ক্ষমতা যে স্কুলে নেই, তা তাঁরা শুনতেই চাননি।’’ জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘রবিবার বলে মাদ্রাসা খোলা ছিল। সেখানে যাঁরা তালা ঝুলিয়েছিলেন, তাঁরাই খুলে দিয়েছেন। আমরা মানুষজনকে বোঝাচ্ছি, যাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক তাঁদের সকলকেই কাজ দেওয়া হবে।’’