জল নামলেও বিচ্ছিন্ন সড়ক

বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাতের জেরে জেলার বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে শুরু করে। জল ছাড়তে হয় জলাধার থেকে। জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা খয়রাশোলের শাল ও হিংলো নদীর কজওয়েগুলি সম্পূর্ণ ডুবে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ১০:০০
Share:

জলের তোড় কালভার্ট ভাঙল সিউড়ি ১ এর সিউড় গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

শাল ও হিংলো নদীর জল কমল। রানিগঞ্জ –মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা খয়রাশোলের শাল ও হিংলো নদীর কজওয়ে দুটি উপচে জল ছিল না। তবু শনিবার যান চলাচল স্বাভাবিক হল না ওই রাস্তায়। কারণ জল সরলেও কজওয়ে সংযোগকারি রাস্তা জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাতের জেরে জেলার বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে শুরু করে। জল ছাড়তে হয় জলাধার থেকে। জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা খয়রাশোলের শাল ও হিংলো নদীর কজওয়েগুলি সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তার জেরেই শুক্রবার সকাল থেকেই বন্ধ ছিল ওই রাস্তায় আসানসোল–সিউড়ি, আসানসোল-রাজনগর ও খয়রাশোল রুটের বাস চলাচল। শনিবার সকালে জল সরে গেলেও দেখা যায় দুবরাজপুর থেকে শাল নদীর কজওয়েতে সেতুতে ওঠার আগে সড়কের অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। প্রায় একই অবস্থা হিংলো কজওয়ের দু’পাশের রাস্তার। শুরু হয়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। কর্তৃপক্ষের আশা দিন দুয়েকের মধ্যে ফের যান চলাচলের যোগ্য হয়ে উঠবে রাস্তা। প্রসঙ্গত ওই দুটি নদীর সংকীর্ণ কজওয়ের ফি বছর বর্ষায় ভেসে যেত।

বহুকাল থেকে এই দূর্ভোগ মেটাতেই দুটি নদীতে দুটি স্থায়ী নতুন সেতু গড়ছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। স্থায়ী সেতু তৈরি কাজে হাত দেওয়ার আগেই যানচালাচাল স্বাভাবিক রাখতে সঙ্কীর্ণ কজয়ওয়ে গুলির পরিবর্তে নতুন করে দুটি উঁচু ভাসাপুল তৈরি করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার। ওই রাস্তা ব্যবহারকারিরা ভেবেছিলেন এই বর্ষায় অন্তত এমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। কিন্তু সেটা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে। দুটি নদীর জল এত বেড়ে গিয়েছিল যা সাম্প্রতিক অতীতে দেখেনি এলাকার মানুষ। অন্যদিকে হিংলো জলাধার থেকে ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়। তবে শনিবার পরিস্থিত অনেকটা বদলেছে। শাল নদীতে জলে নেমে গিয়েছে। জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে হিংলো জলাধার থেকে। শুধু শুক্রবার শুধু শাল হিংলো নয় গোটা জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছিল এলাকা, ভাসে রাস্তা।

Advertisement

বৃষ্টিপাত বা বন্যা পরিস্থিত নিয়ে জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে শনিবার জেলার পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। হিংলো, দেউচা, কুলতোড়, তিলপাড়া-সহ প্রত্যেকটি জলাধার বা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেক কমেছে। একমাত্র লাভপুরের লা-ঘাটা ছাড়া। লা-ঘাটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে। যোগাযোগের জন্য নৌকা পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।’’ পরিস্থিতি অনেক ভাল সেটা দ্বারকা নদীর দেউচা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার তথ্যই বলছে। এসডিও(মহম্মদবাজার ক্যানাল সেচ) এলাহি বক্স বলছেন, ‘‘শুক্রবার দিনভার যেখানে ১৬৬৬৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল সেটা শনিবার কমিয়ে মাত্র ৮২২ কিউসেকে নেমেছে।’’ অন্যদিকে এসডিও (হিংলো ক্যানাল সেচ) সাধন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুক্রবার ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়ছিল, সেটাই শনিবার কমিয়ে ৩০০০ কিউসেক করা হয়েছে।’’ শাল নদীতে থাকা কুলতোড় ব্যারেজে শুক্রবার জল ছাড়া হয়েছিল ৮ হাজার কিউসেক, সেটাই শনিবার কমে হয়েছে ১৯১০ কিউসেক বলছেন, এসডিও (বোলপুর ক্যনাল সেচ) মহম্মদ সেলিম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement