recycle of plastic bottle

প্লাস্টিকের বোতলেই সাজছে স্কুল

প্রত্যেক দিনই বেড়ে চলেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস ও জলের বোতল ব্যবহারের পর তা রাস্তায় বা বাড়ির চারপাশে পড়ে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

  সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১০:৩৯
Share:

প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে সাজানো হয়েছে স্কুল চত্বর। নিজস্ব চিত্র।

প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়তে ও বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে আকর্ষক করে তুলতে প্লাস্টিকের জলের বোতলকে ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়। নানা আকারের বোতল ও তাদের নবরূপে সেজে উঠেছে মল্লারপুরের বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

Advertisement

প্রত্যেক দিনই বেড়ে চলেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস ও জলের বোতল ব্যবহারের পর তা রাস্তায় বা বাড়ির চারপাশে পড়ে থাকে। এর ফলে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। সেই প্লাস্টিকের বোতলকেই কাজে লাগিয়ে একদিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিদ্যালয় চত্বর আবার অন্য দিকে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুলের এই ‘মেকওভার’-এ উদ্যোগী হয়েছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় ফেলে দেওয়া বোতল কেটে তাকে মুড়িয়ে, বেঁকিয়ে বানানো হচ্ছে ফুলের উদ্যান। জলের বোতলকে নানা আকার ও রূপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে গাছ রাখার আধার। তাতে মাটি ভরে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন লতানো ফুলগাছ ও পাতাবাহারের গাছ। তারপর সেই বোতলগুলিকে সারিবদ্ধ ভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুল চত্বরে। এমনকী, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের বারান্দার সামনেও ঝোলানো হচ্ছে এই গাছ লাগানো সুসজ্জিত জলের বোতল। যার ফলে এক অন্য রূপ পাচ্ছে স্কুলটি। শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুল সাজানোর কাজে হাত লাগিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরাও। তারাও এই কাজে যুক্ত হতে পেরে বেজায় খুশি। স্কুলের শিক্ষক শঙ্কর বাগচী বলেন, “স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের উদ্যোগে মাসখানেক আগে থেকেই ফেলে দেওয়া জলের বোতল জোগাড় করে তা বিভিন্ন ডিজ়াইন করে কেটে তাতে রং ও নকশা এঁকে গাছ লাগানো হচ্ছে। স্কুলের সৌন্দর্যায়নে সেই গাছ-সহ বোতলগুলি ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিক পড়ে থাকা প্লাস্টিকের দূষণ কমছে অন্য দিকে বোতলগুলিকে টব হিসেবে ব্যবহার করে তাদের রিসাইক্লিং হচ্ছে। স্কুল সেজে ওঠায় পড়ুয়াদের কাছে তা আরও আকর্ষক হয়ে উঠছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement