জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে ‘দিশা’ প্রকল্পে আশাকর্মীদের মাধ্যমে রোগীদের, বিশেষ করে রাতের বেলায় সঠিক পরিষেবার জন্য যাতায়াত, থাকার সুবিধাযুক্ত সম্পূর্ণ আলাদা বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের অনুমোদিত ‘দিশা’র এই বিভাগ থেকে রোগীরা সঠিক পরিষেবা, তথ্য সহজেই পারবেন। ২১ অগস্ট থেকে সিউড়ি জেলা হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। পরে সাঁইথিয়া ও দুবরাজপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এই পরিষেবা চালু করা হবে।
বীরভূমে মোট ১,৬৫১ জন আশাকর্মী রয়েছেন। এই কর্মীরা গ্রাম থেকে গর্ভবতী মহিলা, আহত, আক্রান্ত শিশু-সহ অন্য রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে রাতের দিকে সুলভ যাতায়াত ব্যবস্থা, হাসপাতাল চত্বরে রাতে আশাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ফলে, অনেক সময় রাতের দিকে দূরের গ্রামের অনেক রোগী সঠিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন। অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের তরফে ১০০ শতাংশ গর্ভবতী মহিলার প্রসব হাসপাতালে করানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যগুলিকে সামনে রেখে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের অনুমোদিত ‘দিশা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এ বার আশাকর্মীদের সঠিক পরিষেবার কাজে নিয়োজিত করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। সিউড়ি জেলা হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ‘দিশা’র আলাদা একটি বিভাগ থাকছে। দায়িত্বে থাকা আশাকর্মীরা রোগীদের সেখানে নিয়ে আসার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই তিনটি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা হবে। রাতে থাকা আশাকর্মীদের জন্য থাকার ব্যবস্থাও থাকছে এই তিন হাসপাতালে। যাতায়াতের খরচ বাবদ তাঁরা ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাবেন। এ ছাড়াও, এই বিভাগ থেকে রোগীর আত্মীয়েরা যে কোনও রকম তথ্য সহজেই জানতে পারবেন।
জেলা আশা ফেসিলেটটর চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের সমস্ত জেলায় দিশার তরফে এই পরিষেবা শুরু হলেও জেলা, মহকুমাস্তরের হাসপাতালে এই পরিষেবা বীরভূমেই প্রথম শুরু হচ্ছে। অন্য জেলায় ব্লক, গ্রামীণ, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে এই পরিষেবা চালু আছে। এর ফলে বিশেষ করে গ্রামের রোগীরা রাত্রিকালীন পরিষেবা অতি সহজেই পাবেন। আশাকর্মীদের কাজের জায়গাটাও প্রসারিত হবে।”